বাংলাদেশে একের পর এক হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা। কিন্তু বার বারই অভিযোগ উঠছে গোটা ঘটনা নিয়ে কেন এখন নীরব কেন্দ্রীয় সরকার? তবে অনেকের মতে, বাংলাদেশ একেবারে নিকট প্রতিবেশী ভারতের। সেক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপ নেওয়ার আগে দশবার ভাবতে হচ্ছে দেশকে। তবে সেই পরিস্থিতিতেও এবার এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে তীব্র খোঁচা দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ
তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, 'বাংলাদেশ থেকে আপত্তিকর খবর আসছেই।
নরেন্দ্র মোদীর সরকার কি আঙুল চুষছে? ৫৬ ইঞ্চির সংলাপ কোথায় গেল?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিষয়ে রাজ্য কিছু করতে পারে না। কেন্দ্র যা করবে, রাজ্যের সমর্থন থাকবে। দরকারে রাষ্ট্রসঙ্ঘে কথা বলে শান্তিসেনা পাঠানো হোক।
কিন্তু কেন্দ্র নীরব, নিষ্ক্রিয়।
কেন? কেন?
ওপারের হিন্দুদের উপর আক্রমণ দেখিয়ে এপারে হিন্দুত্বের ভোট মার্কেটিং? বিজেপি মিছিল করার সুযোগ পাচ্ছে। দিল্লি বসে বসে দেখছে।
অবিলম্বে যথাযথ পদক্ষেপ নিক কেন্দ্র। অবিলম্বে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন থামাতে হস্তক্ষেপ করুক দিল্লি। এরা মণিপুর শান্ত করতে পারে না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও রহস্যময় নীরবতা।
এখনই কঠোরতম বার্তা যাক দিল্লি থেকে। সচিব পর্যায়ের টিম যাক। আর৫৬ ইঞ্চি' সব দেশে ঘোরেন, বিনা আমন্ত্রণে পাকিস্তানে গিয়ে চমকের প্রচার নেন; এখন বাংলাদেশে যাবেন না কেন??? যদিও মণিপুর যাওয়ার সময় হল না তাঁর।
বাংলাদেশে যা ঘটছে, প্রতিবাদ করছি। কিন্তু রাজ্য সরকারের কিছু করার এক্তিয়ার নেই। মুখ্যমন্ত্রী অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। এখন অবিলম্বে যথাযথ পদক্ষেপ নিক দিল্লি। 'প্রশ্ন করছেন কুণাল ঘোষ।
তবে সেই প্রশ্ন তুলতে গিয়ে যেভাবে তিনি মোদী সরকারকে আক্রমণ করেছেন তা নিয়েও আর এক দফা প্রশ্ন উঠছে। তবে ইতিমধ্যেই ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক যে ক্রমেই তলানিতে যাচ্ছে তা নিয়ে নানা কথা বলা হচ্ছে।
এদিকে ঢাকায় বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক ছিল। বৈঠক শেষ হতেই সেদেশের অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের পরিস্থিতি নিয়ে সালেহউদ্দিন বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের টানাপোড়েনের যে পরিস্থিতি চলছে, সেটি রাজনৈতিক, তার প্রভাব দুই দেশের বাণিজ্যে পড়বে না। এমনই দাবি করেছে বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, তিনি বলেন, 'ব্যবসায়ীরা যাঁরা পণ্য বিক্রি করেন, তাঁরা রাজনীতিবিদদের বক্তব্যে বিভ্রান্ত হন না। তাঁরা পণ্য বিক্রি করেন।' তিনি জানান, যেখানে লাভ ভালো, যেখানে বাণিজ্যিক আগ্রহ রয়েছে, সেখানে সেখানেই পণ্য বিক্রি করেন রপ্তানিকারকরা, সেটা আমাদের কাছেও হতে পারে, বা অন্য কারোর কাছে। তিনি জানান, বাজারে এর জেরে কোনও অস্থিরবস্থা তৈরি হবে না, বরং সরকার সমস্ত রকমের ব্যবস্থা নিচ্ছে, যাতে পণ্যের যোগান মসৃণ থাকে। তিনি বলেন, ‘ রমজানে বাজির স্থিতিশীল থাকবে। আর আমরা যোগান বাড়াতে পদক্ষেপ করছি।’ বাংলাদেশের আর্থিক উপদেষ্টা জানান, ভারত, ভিয়েৎনামের কাছ থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে। তবে বিশ্ববাজারে সোয়াবিনের দাম বেড়েছে। ফলে বাজারে তার যোগান নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে।