আরজি করের নির্যাতিতার জন্মদিন উপলক্ষে কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় মিছিল। একেবারে নীরব প্রতিবাদ। আরজি করের নির্যাতিতার বাবা মাও শামিল হয়েছিলেন সেই মিছিলে। আর সেই মিছিলকে রীতিমতো কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
এই প্রতিবাদের মাধ্য়মে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে দাবি করেন কুণাল ঘোষ। তবে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা আন্দোলনের রাস্তাতেই থাকবেন।
কুণাল ঘোষ বলেন, মুখ্য়মন্ত্রী বলছেন আমরা ফাঁসি চাই। আর এরা বলছেন আমরা বিচার চাই। দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। আমরা বলছি ফাঁসি চাই। আর এরা বলছেন আমরা ফাঁসি চাই না। অথচ রাস্তায় নামতে হবে। একেবারে অন্ধ তৃণমূল বিরোধী রাজনীতি করার জন্য কয়েকটা রাজনৈতিক দল, কয়েকটা রাজনৈতিক শক্তি বাবা মার আবেগকে বিভ্রান্ত করে তারা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সহায়তা নিয়ে…এই ধরনের বিষয় সিবিআই তদন্তের আওতায় আসা দরকার। এটা পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ঘূর্ণাবর্তের মধ্য়ে বাবা মার আবেগকে ফেলে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কয়েকজন ব্যবহার করছেন। মানুষ এসব তাকিয়েও দেখছেন না। জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ।
তবে শনিবার সকাল থেকেই দিকে দিকে উঠল ফের সেই প্রতিবাদের ঝড়। তবে সবটাই নীরবে। মূলত মাধ্য়মিক পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে এদিন কোথাও কোনও মাইক বাজিয়ে প্রতিবাদ করতে চাননি আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে এদিন সন্ধ্য়ায় আরজি কর চত্বরে মিছিল করে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারী চিকিৎসক সহ অন্যান্যরা। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, পুলিশ তাদের আটকায়। তারা জানিয়ে দেন এভাবে দলে দলে হাসপাতাল চত্বরে গেলে সমস্যা হতে পারে। এনিয়ে আরজি করের গেটের সামনে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা হয় জুনিয়র ডাক্তারদের। এরপর অপর একটি গেট খুলে দেওয়া হয়। আপাতত আন্দোলনকারীরা যদি শৃঙ্খলিতভাবে ভেতরে যেতে চান সেক্ষেত্রে বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।
নির্যাতিতার মা সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, বলতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। আমার হাতে গুড়ের পায়েস খেতে খুব ভালোবাসত। আমি করে দিতাম। ওর জন্মদিন পালন হত কর্মস্থলে। সারাদিন রোগী দেখার পরে কেক কেটে জন্মদিন পালন করা হত। বাবা একটা কেক এনে রাখত। আমি একটা জামা এনে রাখতাম। গত বছর ২২ হাজার টাকা দিয়ে একটা ঘড়ি কিনেছিলাম। দিন দুয়েক পরেছিল। সেই ঘড়িটা পরার মানুষটাই আর নেই।