তৃণমূলের শিক্ষা সেলের নতুন রাজ্য় কমিটি তৈরি হয়েছে। সেই কমিটি থেকে বাদ পড়েছে একাধিক পরিচিত মুখ। আবার সেই কমিটিতে যোগ হয়েছে একাধিক নতুন নাম। দলের অধ্য়াপক ও শিক্ষকদের নতুন কমিটি থেকে যারা বাদ পড়েছেন তাঁদের একাংশ ইতিমধ্য়েই আসরে নেমে পড়েছেন। এর আগে ওয়েবকুপার সহ সভাপতি ছিলেন মণিশঙ্কর মণ্ডল। বাদ পড়েছেন তিনি।
এদিকে এই নয়া কমিটির নাম ঘোষণা করেছেন ব্রাত্য বসু। আর বাদ পড়াদের একাংশের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হয়ে তাঁরা কথা বলতেন। সেকারণেই তাঁদের বাদ পড়তে হয়েছে। এমনকী ব্রাত্য বসুকেও নিশানা করেছিলেন তাঁরা। এবার সেই বাদ পড়াদের নিশানা করলেন কুণাল ঘোষ।
এদিকে এবার সেই বাদ পড়াদের নিশানা করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, এটা দলের সিদ্ধান্ত। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে আক্রমণের মানে কী! যাঁরা যা বলছেন সেসব চূড়ান্ত বিভ্রান্তিকর। এই সব বিভ্রান্তিকর কথা বলছিলেন বলেই এই বদল হয়েছে। তাছাড়া সবাই চিরকাল এক পদে থাকবেন নাকি?
সেই সঙ্গেই কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, যাঁরা এত কথা বলছেন তাঁরা আরজি করের ঘটনার সময় দলের পক্ষে দাঁড়িয়ে কিছু বলেছেন? মুখ্য়মন্ত্রী রাজ্য সরকারের পক্ষে দাঁড়িয়ে একটা পোস্ট করতে পারতেন তাঁরা? তাঁর বদলে বার বার দলের অভ্য়ন্তরীন বিষয় সামনে এনেছেন।
কী বলেছিলেন বাদ পড়া শিক্ষক অধ্য়াপকরা? এই বাদ পড়ার নেপথ্যের ঘটনা ঠিক কী?
সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের বিপুল জয়ের পরে সোশ্য়াল মিডিয়ায় মণিশঙ্কর লিখেছিলেন, গেম চেঞ্জার দাদা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কথা উল্লেখ করেই তিনি একথা লিখেছিলেন। এরপরই আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদ কর্মসূচির মধ্য়েই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জহর সরকার। তখন মণিশঙ্কর লিখেছিলেন, জহরের বার্তা নিতে হবে সতর্কতা, অভিষেকদাকে দরকার গড়তে বলিষ্ঠ সরকার।
এসব নজরে রাখছিল দল। এরপরই বহিষ্কার।
এনিয়ে মণিশঙ্কর সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, গেম চেঞ্জার দাদা বলে লিখেছিলাম। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পক্ষে একথা লিখেছিলাম। এরপরই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ফোন করে আমায় যা তা বলেছিলেন। আমি অমিত শাহকে কালো পতাকা দেখানো ছেলে আমায় এভাবে ভয় দেখানো যাবে না।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিগত দিনে দলের অন্দরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অনুগামী বলেই পরিচিত ছিলেন। এমনকী অভিষেকের হয়ে একাধিকবার ব্যাটও ধরেছিলেন তিনি। কিন্তু সেসব আজ অতীত। হাওয়া ঘুরছে একথা আঁচ করেই কি দ্রুত নিজের অবস্থান বদলে ফেলেন কুণাল? আর যারা এখনও অভিষেকের জয়গান গাইছেন তাঁদের উপর পড়ছে কোপ।