নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল কুলতলিতে। সেই ঘটনায় ফাঁসির সাজা দিয়েছেন বিচারপতি। ঘটনার ৬২দিনের মাথায় দোষী সাব্যস্ত করা হল মুস্তাকিন সর্দারকে। তাকে ফাঁসির সাজা। এরপরই মুখ খুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
কুণাল কার্যত করজোড়ে বলেন, আপনারা অন্য়ের কথায় বিভ্রান্ত না হলে মেয়ের খুনে দোষী সাব্যস্ত ফাঁসির সাজা এতদিনে দেখতে পেতেন। কার্যত নির্যাতিতার বাবা মার উদ্দেশ্যেই তিনি একথা জানিয়েছে, তবে হাত জোড় করে।
কুণাল বলেন, কুলতলিতে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার দৃষ্টান্ত তৈরি হল। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ২ মাসের মধ্য়ে শাস্তি দিতে হবে। ফাঁসি চাইব। তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হয়েছে। ৬১ দিনের মাথায় ফাঁসির সাজা হল। এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রাজ্যের পুলিশ ও আইন বিভাগ তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে। যে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তার পরিবারকে ন্যায় বিচার দিতে পুলিশ তৎপর হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ দেখিয়ে দিল ৬২ দিনের মাথায় ফাঁসির সাজা আদায় করে আনা যায়। দাবি কুণালের। সেই সঙ্গেই অপরাজিতা বিলের প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি।
এর সঙ্গেই আরজি করের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। আরজি করের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, আরজি করের ক্ষেত্রেও একদিনের মধ্য়ে পুলিশ অভিযুক্তকে ধরেছিল। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। কিনারা তো কলকাতা পুলিশই করে দিয়েছে। সিবিআইয়ের হাতে কিছু আনুষ্ঠানিকতা ছিল। তাতেই এত দেরি করছে সিবিআই।
কুণালের দাবি, আজকে যদি কলকাতা পুলিশের হাতে মামলা থাকত, তাহলে হয়তো আরজি করের ঘটনায় ফাঁসির সাজা হয়ে যেত। কারণ আরজি করের ঘটনার অনেক পরে কুলতলির ঘটনা হয়েছে। কুলতলির মামলায় সাজার পরে এটা বলা যায় আরজি করের ঘটনা কলকাতা পুলিশের হাতে থাকলে এতদিনে সাজা ঘোষণা হতে পারত। যাঁরা অতিনাটক করলেন তাঁরা আসল তদন্তের ক্ষতি করলেন।
সেই সঙ্গেই নির্যাতিতার বাবা মাকে হাতজোড় করে তিনি বলেছেন, আমি তাঁদের করজোড়ে বলব কুলতলির ঘটনাটা দেখবেন। কাদের কথায় বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। আপনারা যদি কলকাতা পুলিশের উপর আস্থা রাখতেন তাহলে এতদিনে ফাঁসির সাজা হয়ে যেত।
তবে কুলতলির ঘটনার রায় ঘোষণার পরে নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, রাজ্য পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের বড় বড় মাথাদের উপস্থিতিতে সাক্ষ্য প্রমাণ লোপাট হয়েছে। সেজন্য সিবিআই অভিযুক্তদের সামনে আনতে পারেনি। আমাদের আসামি এখনও ধরা পড়েনি। জয়নগরে পুলিশ সাক্ষ্যপ্রমাণ জোগাড়ে তৎপর ছিল। আর এখানে সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাটে তৎপর ছিল। পুলিশ যে লোপাট করেছে তার প্রমাণ তো টালা থানার তৎকালীন ওসি। তাঁকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে।
সব মিলিয়ে কুলতলির রায় ফের সামনে আনল আরজি করের ঘটনার চর্চাকে।