নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুর মামলায় নাম জড়িয়েছে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সেই প্রেক্ষিতে এবার বিস্ফোরক দাবি কুণাল ঘোষের। বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ‘পুরুষ পছন্দ করা নেতা’ বলে আক্রমণ করেছিলেন। আর আজ একধাপ এগিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘দেহরক্ষীকে বিকৃত যৌনতা দেখাতে গিয়েছিলেন। সেই দেহরক্ষী বাইরে বলে দিতে পারেন, এই ভয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে। আমি কোনও নেতার নাম নিচ্ছি না।’
এদিন নাম না করে শুভেন্দুকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে বেলাগাম হন কুণাল। বলেন, ‘কোনও এক জন নেতা, যাঁর নাম বলব না, শুভেন্দুর কথা বলছি না, কিন্তু সেই নেতা যৌন বিকৃত, হোমোসেক্সুয়াল, সমকামী। তাঁর এক দেহরক্ষীকে বিকৃত যৌনতা দেখাতে গিয়েছিলেন। সেই দেহরক্ষী বাইরে সব বলে দেবেন, এই ভয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে। আত্মহত্যা বলে চালানো হয় সেই ঘটনা। সেই নেতা কে? পুলিশ এই ঘটনার তদন্তের মাঝপথে আটকে রয়েছে। আমরা পুলিশকে বলছি, কোথায় কোন আদালতে আটকে রয়েছে, জানার দরকার নেই। মৃত নিরাপত্তারক্ষীর বাড়ি যেন ন্যায্য বিচার পায়। পুলিশ দেখুক, সেই নেতা কে। বিষয়টি সকলের সামনে আসা উচিত।’ এদিকে কুণালের এই মন্তব্যের পর প্রশ্ন উঠছে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতে গিয়ে সমকামী নারী-পুরুষকে এভাবে অপমান করা কেন? সমকামী হলেই কি ‘যৌন বিকৃত’ কটাক্ষ শুনতে হবে?
উল্লেখ্য, নবান্ন অভিযানের দিন, এক মহিলা পুলিশকর্মীর উদ্দেশে শুভেন্দুকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আপনি লেডি। ডোন্ট টাচ মাই বডি।’ এর প্রেক্ষিতে কটাক্ষ করে অভিষেক গতকাল বলেছিলেন, ‘মহিলা পুলিশকর্মীকে উনি (শুভেন্দু) বলেন, আমি ‘মেলস’ আপনি মহিলা। ডোন্ট টাচ মি। এখন বুঝতে পারছি, সুদীপ্ত সেন যদি পুরুষ না হয়ে মহিলা হতেন, অর্থাৎ সুদীপ্তা হতেন, তা হলে ওনার কাছ থেকে তিনি টাকা নিতেন না। বা নারদ স্টিং কাণ্ডে ম্যাথু স্যামুয়েল না গিয়ে যদি অ্যাঞ্জেলিনা স্যামুয়েল যেতেন তা হলেও উনি টাকা নিতেন না।’ পাশাপাশি শুভেন্দুকে ‘পুরুষ পছন্দ করা নেতা’ বলে কটাক্ষ করেন অভিষেক। বিজেপির তরফে অবশ্য তৃণমূলের এই আক্রমণকে ‘কুরুচিকর’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়।