সারদার প্রথম মামলা (৩৪/২০১৩) থেকে অব্যাহতি পেলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত কোনও তথ্য প্রমাণ না থাকায় বিধাননগরের এমপি এমএলএ বিশেষ আদালতের বিচারক মনোজ্যোতি ভট্টাচার্য তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। কুণাল ঘোষ ছাড়াও সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায় এবং সোমনাথ দত্তকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন বিচারক। উল্লেখ্য, এই মামলাতেই প্রথম কুণাল ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আজ মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর কুণাল ঘোষ বলেন, তিনি অন্যান্য মামলাগুলির ক্ষেত্রেও আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় সারদার প্রথম মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলায় কুণাল ঘোষ, সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায়, সোমনাথ দত্ত-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। এরপর একে একে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। জেলে থাকাকালীন কুণাল ঘোষ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। কিছুদিন আগেই আদালতে তা প্রমাণ হয়েছে। এবার সারদার প্রথম মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ায় আরও স্বস্তি পেলেন কুণাল ঘোষ। সরদার প্রথম মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, ‘২০১৩ সালে চার্জশিট জমা পড়েছিল। সেই চার্জশিটে আমার বিরুদ্ধে কিছু খুঁজে পাননি বিচারক। তাই আমাকে অব্যাহিত দিয়েছেন।’ এরপর গ্রেফতারের প্রসঙ্গ তুলে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আমাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যেভাবে আমার জীবনের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে গিয়েছিল আমি বাকি মামলাগুলি ক্ষেত্রেও লড়ব। সারদার কোনও অপকীর্তির সঙ্গে আমি কোনওদিনই জড়িত ছিলাম না। আমি শুধুমাত্র সারদার কর্মী ছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা যারা এই গ্রেফতারির পিছনে ছিল তারাও আমাকে চেনে আমিও তাদের চিনি। এনিয়ে নির্দিষ্টভাবে কারও নাম না করলেও কুণাল ঘোষ কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমার এবং তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের নাম করেন। তিনি বলেন, ‘এখন মনে হচ্ছে রাজীব কুমারকে এবং মুকুল রায়কে ফোন করে বলি, প্রথম যে মামলাটিতে আমাকে গ্রেফতার করানো হয়েছিল সেই মামলা থেকে জামিন তো বটেই আমি পুরোপুরি অব্যাহতি পেয়েছি।’