মুখ্যসচিবের দেওয়া অনশন প্রত্যাহারের 'শর্ত' না মেনেই আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করতে যাবেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আর এই আবহে বৈঠক ভেস্তে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে পালটা হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। আজ এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ। সেখানে তিনি দাবি করেন, যদি বৈঠক ভেস্তে যায় এবং তার জেরে কোনও রোগীর ক্ষতি হয়, তাহলে যেন দেবাশিস হালদার এবং অনিকেত মাহাতোর নামে এফাইআর করা হয়। (আরও পড়ুন: ফোন থেকে কী মোছেন সন্দীপ-অভিজিৎ? এখন সেই তথ্যই ঘোড়াতে পারে তদন্তের মোড়)
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা, শীঘ্রই পালটে যাবে আবহাওয়া, ভারী বৃষ্টিতে ডুববে কলকাতাও
আরও পড়ুন: 'সপ্তম বেতন কমিশনের সুবিধা...', রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বড় রায় আদালতের
কুণাল ঘোষ আজ নিজের পোস্টে লেখেন, 'যদি মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠক পরিকল্পিতভাবে অন্যায্য জেদে ভেস্তে দিয়ে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ধর্মঘটের নামে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হয়, তাহলে বাংলার কোনও রোগীর কোনো ক্ষতি হলে নিকটবর্তী থানায় ডাঃ দেবাশিস হালদার ও ডাঃ অনিকেত মাহাতোর নামে যেন এফআইআর হয়। তাঁরাই চক্রান্তের মাতব্বর। তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসকের নাম যোগ করবেন। চিকিৎসা আপনার মৌলিক অধিকার। প্ররোচনা দিয়ে তা থেকে বঞ্চিত কার আইনত অপরাধ।' (আরও পড়ুন: 'এটা খুন', শব্দবাজিতে মৃত্যু মহুয়ার উদ্ধার করা কুকুরের, পুলিশকে তোপ TMC সাংসদের)
আরও পড়ুন: 'কোটি কোটি টাকার বকেয়া মেটানোর পর...', এই কর্মীদের ডিএ বাড়ল ৪%, প্রশংসা CM-এর
কুণাল ঘোষ নিজের পোস্টে আরও লেখেন, 'অনশনের কারণে যদি জুনিয়রদের কারুর কোনো ক্ষতি হয়, তাহলেও মূলত এরা দুজন, এদের প্ররোচনাদাতারা দায়ী থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী বারবার অভিভাবকোচিত সংবেদনশীলতা দেখাচ্ছেন। তাতে সাড়া দিয়ে অনশন প্রত্যাহার করে আলোচনা হোক। বাম, অতি বাম, বিরোধীদের ফাঁদে পা দেবেন না।' এদিকে কুণালের এই পোস্টের জবাবে কিঞ্জল নন্দ পালটা পোস্ট দেন ফেসবুকে। সেখানে তিনি লেখেন, 'সিদ্ধান্ত শুধু অনিকেত বা দেবাশিস হালদার নেয়নি,সিদ্ধান্ত ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট নিয়েছে। প্রথম দিন থেকেই আমরা আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম,কিন্তু উৎসব চলায় সেটা সম্ভব হয়নি। আর বৈঠক ভেস্তে দেওয়ার কথা যদি বলেন, অনশনে বসার আগে দু'বার ইমেল করা হয়েছিল, যার উত্তর দিতেই আপনারা ভুলে যান। তাই সমস্যা সমাধান করার সদিচ্ছের প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। যেচে পড়ে কেউ আন্দোলন করতে আসে না। ডাক্তারিতে অনেক কাজ থাকে। যাই হোক,ডাক্তার না হলে সেটা বোঝানো খুব মুশকিল। ব্যক্তি আক্রমণটা স্বভাব হয়ে গিয়েছে।'