ভাইরাল অডিয়ো কাণ্ডে আজই গ্রেফতার হন বাম নেতা কলতান দাশগুপ্ত। আর কলতান গ্রেফতার হতেই সামনে এসেছে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব। এই আবহে আজ একের পর এক টুইটে বিরোধীদের তোপ দাগলেন কুণাল ঘোষ। প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে কুণাল ঘোষ লেখেন, 'তৃণমূলের বিরুদ্ধে যা বলবেন, দেখাবেন, সব সত্যি!!! আর বিরোধীদের অডিয়ো বেরোলে সেটা চক্রান্ত??? অডিয়ো তো ওদের শিবির থেকেই বাইরে। সুজনদারা বলুন, গলা কলতানের কি না? সরকারকে বিপাকে ফেলতে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনায় যারা অন্তর্ঘাতমূলক হামলার চক্রান্ত করেছিল, তাদের চক্রান্ত ফাঁস বলে রাগ।' (আরও পড়ুন: মমতা-ডাক্তারদের বৈঠক ভেস্তেছে 'লাইভ কাঁটায়','শর্ত' নিয়ে মুখ খুললেন নির্যতিতার মা)
আরও পড়ুন: পুজোর আগে চিন্তা দূর বাংলার বহু সরকারি কর্মীর, নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি অর্থ দফতরের
আরও পড়ুন: ডাক্তারদের আন্দোলনের মাঝেই ফের মৃত্যু আরজি করে, এবার প্রাণ গেল ২৪-এর যুবকের
এরপরই কুণাল অপর এক পোস্টে দাবি করেন, বিচারের দাবিতে আন্দোলন চলুক। তাঁর কথায়, 'ন্যায়বিচারের দাবি থেকে নজর ঘোরাতে অডিয়ো? সিপিএমের কথা ভুল। ন্যায়বিচারের দাবি চলুক। কিন্তু সরকারকে বিব্রত করতে যারা ডাক্তারদের ধরনায় হামলার ছক করে, তার তদন্ত হবে না? অডিয়োর গলা কাদের, তদন্ত করুক পুলিশ। সতর্কতা থাকুক ধর্নায়। ডাক্তারদের রক্তাক্ত করে তৃণমূলবিরোধিতার রাজনীতির ছক ফাঁস।' এরপর তাঁর আরও বক্তব্য, 'যাঁরা ডাক্তারদের উপর হামলার ছক কষছে, তাদের শিবির থেকেই অডিয়ো লিক। অডিয়ো ঠিক কি না, ঠিক হলে কথোপকথনে কারা, এত বড় ষড়যন্ত্রে কাদের মাথা, এসব দেখা পুলিশের এক্তিয়ার। গ্রেফতার, জেরা, জামিন মঞ্জুর বা খারিজ, সবই আইনি অঙ্গ। আসল কথা হল, তৃণমূলকে বিপাকে ফেলতে ভয়ঙ্কর প্লট সামনে এল।'
আরও পড়ুন: নারকো টেস্টে 'না', কাউকে কি বাঁচাচ্ছে আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়?
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যভবনের কাছে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের মারধরের 'ছর' কষা হচ্ছে বলে দাবি করে গতকালই একটি অডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস) প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। যা নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। কুণাল দাবি করেছেন, বাম এবং অতি বাম সংগঠনের দুই নেতার সেই কথোপকথনে 'হামলার ছক' সামনে এসেছে। এই আবহে উক্ত কথোপকথনে বাম নেতা কে, তা নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপে এক জনকে 'স' বলে সম্বোধন করা হয়েছিল। এবং কথোপকথনের অন্যদিকে থাকা ব্যক্তিকে 'ক' বলে সম্বোধন করা হয়েছিল। এদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর পুলিশ। ধৃতের নাম সঞ্জীব দাস ওরফে বুবলাই। দাবি করা হচ্ছে, এই সঞ্জীবই নাকি অডিয়ো ক্লিপের 'স'। এই আবহে এবার 'ক'-কে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। আর আজ সকালে গ্রেফতার করা হয় কলতানকে।