গতকালই সাংবাদিক বৈঠক করে নাম না করে কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূলের এক ‘প্রভাবশালী নেতা’র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এরপর শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ শানান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ‘চোর, ব্ল্যাকমেলার, তোলাবাজ, বিশ্বাসঘাতক’ বলে শুভেন্দুকে আখ্যা দেন কুণাল। পাশাপাশি শুভেন্দুকে মানহানি মামলা করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন তৃণমূল নেতা।
উল্লেখ্য, গতকাল শুভেন্দু সাংবাদিকদের বলেন, ‘দিল্লির আদালতে গুরুপদ মাঝি নামে ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে চার্জশিট পেশ করে ইডি। কয়লা পাচারের সঙ্গে যে বড় চক্র যুক্ত আছে এবং সেই চক্রের সঙ্গে প্রভাবশালী ব্যক্তিরও যোগ আছে, তা ওই চার্জশিটেই বলা হয়েছে।’ শুভেন্দুর কথায়, ‘মোট ২,৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এই ২,৪০০ কোটি টাকা দুর্নীতির মধ্যে ১,০০০ কোটি টাকা প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির কাছে গিয়েছে।’ শুভেন্দু অভিযোগ করেন, ‘কয়লা পাচারের সঙ্গে রাজ্যের এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের যোগ রয়েছে। সেই প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি কার্যত প্রশাসন, পুলিশ ও শাসকদলকে নিয়ন্ত্রণ করেন।’
প্রসঙ্গত, অভিষেককে ‘সুপার সিএম’ আখ্যা দিয়ে বিজেপি আগেও আক্রমণ শানিয়েছে। কয়েকদিন আগে তাজ বেঙ্গল হোটেলে পুলিশ মোয়াতেন নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু। এছাড়া নিয়োগের দাবিতে আনদোলন করা চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে অভিষেকের বৈঠকের পর সাংসদের এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। এই আবহে শুভেন্দু নাম না নিলেও তিনি যে অভিষেকের কথা বলছেন, তা নিয়ে নিশ্চিত অনেকেই। এই আবহে পালটা আক্রমণ শানান কুণাল ঘোষ।
কুণাল ঘোষণ শুভেন্দুর উদ্দেশে বলেন, ‘ও অভিষেক ফোবিয়ায় ভুগছে। আর তার নাম নেওয়ার সাহস হল না? ও ইঙ্গিতে কেন কথা বলে? আমি নাম করে বলছি, শুভেন্দু হচ্ছে চোর, ব্ল্যাকমেলার, তোলাবাজ, বিশ্বাসঘাতক। আমি নাম করে বলছি শুভেন্দু অধিকারীর। ক্ষমতা থাকলে মানহানির মামলা করুক। আমি শুভেন্দুকে বলছি, ওর বুকে নেই দমদম, ও খাবে চমচম। দম থাকলে নাম বলত।’