বৈঠকের মাঝেই বচসার জেরে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় বিজেপি যুব মোর্চার সহ-সভাপতি রাজু সরকার। সেই মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে জলঘোলা। এই আবহে আরও কিছুটা বিতর্ক উস্কে রাজু সরকারের মৃত্যুতে শোকবার্তা দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিন তিনি ইঙ্গিত দেন যে রাজু হয়ত দলে খুশি ছিলেন না।
রাজুর মৃত্যুর খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হতেই গতরাতে কুণাল টুইটে লেখেন, 'বিজেপির যুব সহসভাপতি রাজু সরকারের মৃত্যুতে শোক জানাচ্ছি। যোগাযোগ রাখত। দেখা করেছিল ক'দিন আগে। হোয়াটসঅ্যাপ করত। যন্ত্রণায় ছিল। বিজেপি দপ্তরে কী ঘটেছিল, নানারকম কথা আসছে। আশা করি উপস্থিতরা তথ্যগোপন বা বিকৃত করবেন না। আচমকা এই মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলে মানতে কষ্ট হচ্ছে।'
বিজেপির হেস্টিংসের দফতরে দুই দিনের বৈঠক চলছিল। জানা গিয়েছে, বৈঠকে বচসার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন যুব মোর্চার সহ সভাপতি রাজু সরকার। পড়ে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পথেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাজু দমদমের নাগেরবাজারের বাসিন্দা ছিলেন। বিজেপি রাজ্য সংগঠনের অত্যন্ত পরিচিত মুখ ছিলেন রাজু। তাঁর এহেন অকাল মৃত্যুতে যুব মোর্চা সহ গোটা গেরুয়া শিবিরেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা গিয়েছে বৈঠক চলাকালীন কোনও এক বিষয় নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে বাক্য বিনিময়, বচসা শুরু হয়। ঝামেললায় জড়িয়ে পড়েন রাজু নিজেও। সেই সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজু। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক ভাব এসএসকেএম-এ নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে শয্যা মেলেনি। পরে তাঁরে ইএম বাইপাসের ধারে অবস্থিত অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথেই নাকি এই নেতা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান।
এদিকে ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। রাজুর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছায় পুলিশ। এদিকে ঘটনার খবর শুনতে পেয়ে হাসপাতালে যান যুব মোর্চা সভাপতি সৌমিত্র খাঁ নিজেও। সেখানে রাজুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন সাংসদ। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গেরুয়া শিবিরের যেকোনও কর্মসূচিতেই সামনের সারিতে থাকতেন এই যুব নেতা। দলের কাজে সব সময়ই স্বক্রিয় ভূমিকা পালন করে এসেছেন। এভাবে আচমকা তাঁর প্রয়াণ মানতে পারছেন না অনেকেই। স্বভাবতই ভেঙএ পড়েছে পরিবারও।