বিজেপির হয়ে প্রথম মিছিল করার পরেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'গ্ল্যাক্সো বেবি' বলে কটাক্ষ করল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে মিছিল করা নিয়ে ধরি মাছ না ছুঁই পানি নীতি নিয়েছিলেন শোভন–বৈশাখী। তাতে বিরক্ত ছিল বিজেপি’র নেতৃত্ব। অবশেষে দেড় বছর কাটিয়ে দেওয়ার পরে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েই দক্ষিণ কলকাতায় মিছিল করেন শোভন। গোলপার্ক থেকে মিছিল করে গিয়ে সেলিমপুরে সভা এবং সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিন কর্মসূচিতেই বারবার তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন শোভন ও বৈশাখী। তারপর তৃণমূলের দিক থেকে ধেয়ে এল কটাক্ষ— ‘শোভন হচ্ছেন বৈশাখীর গ্ল্যাক্সো বেবি।’ এই মন্তব্য করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘এটা কার বুঝতে সুবিধা আছে যে, ওরা নবদম্পতি। দেখছেন না লাল টুকটুকে শাড়ি পরে কেমন লজ্জাবতী–লতার মতো কাননে ফুটে রয়েছেন।’ অতীতে খুবই জনপ্রিয় ছিল ‘গ্ল্যাক্সো’ ব্র্যান্ডের বেবি ফুড। সেই মিল্ক পাউডারের বিজ্ঞাপনে নাদুসনুদুস যে শিশুকে দেখা যেত তাকে কেন্দ্র করেই ‘গ্ল্যাক্সো বেবি’ শব্দবন্ধ তৈরি হয় বাংলায়।
কুণাল তার সঙ্গে তুলনা করেই শোভনকে কটাক্ষ করলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ বিজেপির মঞ্চ থেকে আগেই কুণালের প্রসঙ্গ টেনে আনেন শোভন। সেটা রানাঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য প্রসঙ্গে। মমতা বিজেপিকে ‘ওয়াশিং মেশিন’ বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসে থাকলে কালো আর বিজেপিতে গেলে ভালো।’ জবাব দিতেই কুণাল প্রসঙ্গ টেনে শোভন বলেন, ‘ওঁর পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে বলেই এসব বলছেন। রাজীব কুমারকে বাঁচাতে ধরনায় বসেছিলেন তিনি। আবার সেই রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে শিলংয়ে গিয়ে সাক্ষী দিয়ে আসা কুণাল ঘোষকে দলের মুখপাত্র নিয়োগ করেছেন।’
তারপরেই কুণালের আক্রমণ, ‘উনি তো বৈশাখীর গ্ল্যাক্সো বেবি। গত দেড় বছর ধরে উনি বৈশাখীকে আর বৈশাখী ওঁকে পর্যবেক্ষণ করে আসছেন। এখন তাঁর উপরেই কিনা পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিজেপি কর্মীদের কথা ভাবলে খারাপ লাগে। তাঁদের এখন নেতার সঙ্গে নেতার বান্ধবীর পায়েও তেল দিতে হয়।’