রাজ্য–রাজনীতি ফের জমে উঠেছে শোভন–বৈশাখী–কুণালের হট–স্পিচে। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করে বৈশাখী বলেন, ‘কলকাতা হাইকোর্ট শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দিলেও শোভনকে এখন এসএসকেএম হাসপাতাল জোর করে আটকে রেখেছে। শোভনের শারীরিক অসুস্থতা আগে থেকেই ছিল। তাঁকে আটকে রাখার চক্রান্ত করছে। শোভনের স্বাস্থ্যের প্রতি কোনও লক্ষ্য নেই চিকিৎসকদের। নানা টেষ্ট করানোর নামে হাসপাতালে আটকে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। শোভনবাবুর উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তাঁকে ফিরতে হবে পর্ণশ্রীর বাড়িতে। অথচ তিনি চার বছর ধরে থাকেন গোলপার্কের বাড়িতে।’
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘হাসপাতালটা মধুচক্র করার জায়গা নয়।’ এতেই তেতে ওঠে রাজ্য–রাজনীতি। সেখানে বৈশাখীর উপস্থিতি নিয়েই এই মন্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে। আর বৈশাখী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে হাতজোড় করে বলেন, ‘এই জিনিস থামান। এতে শোভনের শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে। কেউ এসে দরজায় লাথি মারছে, কেউ ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর হাত মচকে দিচ্ছে। যারা করছে তাদের সব ছবি আছে।’
আর বৈশাখীর এই অভিযোগের পালটা উত্তর দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘শোভনবাবু তো মামার বাড়িতে নেই যে, যখন ইচ্ছা হবে বাড়ি ফিরে যাবেন। তিনি একটি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন। জেল থেকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।’
এরপরেই শোভন চট্টোপাধ্যায় আক্রমণ করে কুণাল ঘোষকে বলেন, ‘জেল খেটে হনুমানের মতো মুখ পুড়িয়ে এখন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র হয়ে উপদেশ দিচ্ছেন।’ শোভনের আক্রমণের প্রত্যুত্তরে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আমাকে নিয়ে ব্যক্তিগত কুৎসা করছেন করুন, তাতে আমার কোনও দুঃখ নেই। কিন্ত জেল থেকে বাড়ি ফিরতে গিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করবেন না। শোভনবাবু এখন নাটক করছেন। কাল পর্যন্ত তিনি অসুস্থ ছিলেন। আর এখন গৃহবন্দি থাকার আদেশ আসতেই তিনি সুস্থ হয়ে গেলেন!’