রামনবমীতে হাওড়া, রিষড়া ও ডালখোলায় অশান্তির ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি বরাবরই পক্ষপাত দুষ্ট আচারণ করে। এই নির্দেশে স্বস্তি পাবে প্রকৃত অপরাধীরা।
বৃহস্পতিবার টুইটে কুণাল লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সংস্থা বিজেপিকে আড়াল করে। মুঙ্গেরবাহিনী নিশ্চিন্ত হল। বিজেপি ও কেন্দ্রের প্লট: প্রথমে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করো, তার পর এনআইএ-র প্রবেশের মঞ্চ করে দাও। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি এনআইএ দেখতে পায় না। যেমন সিবিআই এফআইআর-এ নাম থাকা শুভেন্দু বিজেপিতে যাওয়ায় তাঁকে সিবিআই গ্রেফতার করে না।’
হাওড়ায় রামনবমীর মিছিলে প্রকাশ্যে রিভলভার উঁচিয়ে মিছিলে হাঁটতে দেখা যায় এক যুবককে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যুবকের সেই ছবি টুইটে প্রকাশ করেন। সুমিত সাউ নামে ওই যুবককে ৪ এপ্রিল বিহারের মুঙ্গেরের থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। টুইটে কুণাল ‘মুঙ্গেরবাহিনী’ বলতে সে দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।
(পড়তে পারেন। সন্ত্রাস রুখতে কাজ করে, রামনবমীতে রাজ্যে অশান্তির ঘটনায় তদন্ত করবে সেই NIA)
বৃহস্পতিবার রামনবমীতে হিংসার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত নথি এনআইএ-কে হস্তান্তর করার কথা বলে।
আদালতের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। হিংসার ঘটনাগুলি সব পূর্বপরিকল্পিত। তৃণমূল সরকার তাতে উস্কানি দিয়েছিল।’
এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু আধিকারী। পশ্চিমবঙ্গে রামনবমীর মিছিলে হামলা ও উপদ্রবের এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ভারতীয় সংবিধানের অভিভাবক জনমানসে ফের আস্থা ফিরিয়েছেন। আমি কলকাতা হাইকোর্টের এই ঐতিহাসিক নির্দেশকে স্বাগত জানাই।'