নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের অপসারিত মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এহেন পার্থবাবুর ঘনিষ্ঠ এক সহকারীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে দিলীপ ঘোষের নামে থাকা এক জমির দলিল। এই আবহে এবার দিলীপ ঘোষের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শনিবার তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দলের রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারকে পাশে নিয়ে কুণাল বলেন, ‘নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের বাড়ির দলিল উদ্ধার হয়েছে। দিলীপ ঘোষের বাড়ির দলিল কী করে নিয়োগ কাণ্ডে দুর্নীতিতে ধৃতের বাড়িতে যায়? আমাদের স্পষ্ট দাবি, দিলীপ ঘোষকে গ্রেফতার করতে হবে।’
দিলীপ ঘোষ এদিন সিবিআইকে তোপ দেগে বলেন, ‘সিবিআই দিলীপ ঘোষের দলিল সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করেছে। তবে সিবিআই প্রথমে সেই কথা গোপন করে গিয়েছিল। সিজার লিস্ট জমা দেওয়া হয়নি প্রথমে। আইনজীবীদের তরফে দাবি জানানো হলে পরে তা দেওয়া হয়। সিবিআই যখন এই মামলার সঙ্গে যুক্ত সকলকেই তলব করছে, জিজ্ঞাসাবাদ করছে, গ্রেফতার করছে তবে দিলীপ ঘোষকে কেন গ্রেফতার করা হবে না?’ এরপর কুণালবাবু বলেন, ‘সিবিআই তদন্তে আমাদের পূর্ণ সহযোগিতা রয়েছে। তবে সিবিআইকে নিরপেক্ষতা থাকতে হবে।’
জানা গিয়েছে, পার্থ ঘনিষ্ঠ মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের নিউটাউনের বাড়ি থেকে ৬০ পাতার একটি দলিল উদ্ধার করা হয়েছে। সেই ডিড সৌভিক মজুমদার এবং দিলীপকুমার ঘোষের স্বাক্ষরিত। ২০২২ সালের ২২ এপ্রিল এই ডিড হয়েছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি জমি কেনাবেচার ডিড সেটি। জমিটি সৌভিক মজুমদারের থেকে কিনেছেন দিলীপ ঘোষ। এদিকে ঘটনার পরই প্রসন্নর সঙ্গে পরিচয় থাকার বিষয়টি স্বীকার করে নেন সাংসদ। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতির কথায়, ‘আমার ওই কমপ্লেক্সে ফ্ল্যাট ছিল। ইলেকট্রিক কানেকশনের জন্য দলিল দিয়েছিলাম। আগে পরিচয় ছিল। ও যে অন্য কোনও কাজে যুক্ত, জানতাম না।’