চাকরি পেতে কার কত নম্বর বাড়াতে হয়েছে সেই অনুসারে ঠিক হয়েছে দর। দর ঠিক করেছে কুন্তল-শান্তনুরা। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে পেশ করে এমনই দাবি করলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। এদিন আদালতে বিচারক সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক ওয়াসিম আক্রমকে তদন্তের গতি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে বলেন, অনেক দিন তো স্পিন বল করলেন, এবার একটু ফাস্ট বল করুন।
বৃহস্পতিবার কুন্তল, শান্তনু ও নীলাদ্রিকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, চাকরি পেতে কার কত নম্বর বাড়াতে হয়েছে তার ওপর ঠিক হত টাকার অংক। কেউ পরীক্ষায় ৬৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে থাকলে তার নম্বর ৭২ শতাংশ করতে খরচ করতে হত অনেক বেশি। সেখানে ৭০ শতাংশ নম্বর প্রাপক অনেক কম খরচেই চাকরি পেয়েছেন। এদিন বিচারক সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, ঘুষের টাকা উদ্ধারে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সিবিআই? এক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের সহযোগিতা পাওয়া না গেলে আদালতে কেন অভিযোগ করছে না তারা?
এদিন আদালত বলে, একজন টাকা নিয়েছে, সে আরও কয়েকজনের মাধ্যমে আরেকজনের কাছে টাকা পাঠিয়েছে। এই বিন্দুগুলিকে যোগ করার কাজ চলছে। দুপক্ষের সওয়াল শুনে অভিযুক্তদের ২০ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।