বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > কুন্তলকে রাজ্য সম্পাদক করেছিলেন তার ‘ইতিহাস - ভুগোল না জেনেই’, আজব দাবি সায়নীর

কুন্তলকে রাজ্য সম্পাদক করেছিলেন তার ‘ইতিহাস - ভুগোল না জেনেই’, আজব দাবি সায়নীর

যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষের সঙ্গে কুন্তল ঘোষ। ফাইল ছবি

তৃণমূলের অন্দরের খবর, সায়নী যুব তৃণমূলের সভানেত্রী হওয়ার পর সংগঠনে কুন্তলের উত্থান ধূমকেতুর মতো। এমনকী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রিয়পাত্র ছিলেন তিনি।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতারির পর ৮ দিন কাটলেও যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে এখনো কোনও পদক্ষেপ করেনি দল। ওদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষসহ তৃণমূলের তাবড় নেতামন্ত্রীর সঙ্গে কুন্তলের নতুন নতুন ছবি প্রকাশ্যে আসছে। তবে কি কেষ্টর মতো কুন্তলের বিরুদ্ধেও কোনও পদক্ষেপ করবে না তৃণমূল? প্রশ্নের মুখে যুব তৃণমূলের সভানেত্রীর জবাব, দোষী প্রমাণিত হলে তাঁকে সুরক্ষা দেওয়ার কোনও ইচ্ছা আমাদের নেই। সঙ্গে তিনি জানান, ইতিহাস – ভুগোল না জেনেই কুন্তলকে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি করেছিলেন তিনি।

রবিবার তৃণমূল ভবনে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সায়নী বলেন, ‘ওর সঙ্গে আমার বিভিন্ন জায়গায় ছবি রয়েছে। আমরা যেখানে যাই সেখানে লক্ষ লক্ষ লোক উপস্থিত থাকে। কারও ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট দেখে বা ইতিহাস – ভুগোল জেনে সাক্ষাৎ করি না।’ প্রশ্ন উঠছে, কুন্তল তো কোনও সাধারণ কর্মী নন। তিনি যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক হয়েছে সায়নী সভানেত্রী হওয়ার পর। তাহলে কি ইতিহাস – ভুগোল না জেনেই একজনকে রাজ্য সম্পাদকের পদে বসিয়েছেন সায়নী?

তৃণমূলের অন্দরের খবর, সায়নী যুব তৃণমূলের সভানেত্রী হওয়ার পর সংগঠনে কুন্তলের উত্থান ধূমকেতুর মতো। এমনকী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রিয়পাত্র ছিলেন তিনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির ৬ দিনের মাথায় তাকে বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল। কিন্তু ৮ দিন পার হলেও কুন্তলকে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি দল। ওদিকে তদন্তে কুন্তলের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠছে। এই পরিস্থিতিতে এদিন সায়নী স্পষ্ট করে দিলেন, আপাতত কুন্তলকে বহিষ্কারের কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁদের। তিনি বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে পদে ছিলেত তাতে তার ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ করা দরকারি ছিল। কুন্তল ঘোষ একজন যুব নেতা। দোষী প্রমাণিত হলে তাকে সুরক্ষা দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই দলের।’

পালটা প্রতিক্রিয়া বিজেপির যুব মোর্চার নেতা তথা শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, ‘শাসকদলের যুব সংগঠনের সভানেত্রী যদি তাঁর রাজ্য সম্পাদকের ইতিহাস - ভুগোল না জানেন তাহলে উদ্বেগের ব্যাপার। কুন্তলকে তো উনি নিজে রাজ্য সম্পাদক করেছেন। ইতিহাস - ভুগোল না জেনে এরকম আর কাকে কাকে সংগঠনের পদে বসিয়েছেন তিনি? এখনই সেই তালিকা ওনার জানিয়ে রাখা উচিত। নইলে আগামীতে আরও বড় বিপদে পড়তে পারেন। সায়নীর দাবি সত্যি হলে মানুষকে ভাবতে হবে এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন দলকে তারা আবার ভোট দেবেন কি না।’

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন