তাঁর বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমের একাংশে অপপ্রচার চলছে বলে দাবি করলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। শুক্রবার আদালতে পেশের সময় পুলিশি ঘেরাটোপে রীতিমতো সংক্ষিপ্ত সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। যদিও শান্তনুর অভিযোগকে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে এড়িয়ে যান কুন্তল।
কী বললেন কুন্তল?
শুক্রবার হেফাজতের মেয়াদ শেষে কুন্তল ঘোষকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। প্রিজন ভ্যান থেকে নেমে কোর্ট লক আপে ঢোকার আগে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁকে বাধা দিতে দেখা যায়নি কোনও পুলিশকর্মীকে।
এদিন কুন্তলকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, আপনি দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড। শুনে কুন্তল বলেন, অপ্রাসঙ্গিক কথার উত্তর আমি দিই না।
সাংবাদিকদের পরামর্শ দিলেন চাকরি চুরিতে অভিযুক্ত
এর পর সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন কুন্তল। বলেন, আপনারা যে বলছেন আমার গোয়ায় হোটেল, ত্রিপুরায় চা বাগান, আরও কোথায় কোথায় কী কী আছে সেগুলো একটু যাচাই করে নিন। ঠিকানাগুলো আমাকে দিন। একথা বলেই দ্রুত পায়ে জেল লক আপে ঢুকে পড়েন তিনি।
বহিষ্কারে খুশি
গ্রেফতারির ৫৩ দিন পর বুধবার কুন্তলকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। দলের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেননি কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কুন্তল। বরং আইনজীবী মারফৎ তিনি দলের সিদ্ধান্তে সহমত প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, বিচারপর্ব মিটলে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হলে দল হয়তো সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে। দল বহিষ্কার করায় তাঁর ‘প্রভাবশালী’ তকমাও সরে গেল বলে মনে করছেন কুন্তল।
টাকা ফেরত নিয়ে চুপ
কুন্তলের থেকে টাকা নিয়ে ইডির জেরার মুখে পড়া সোমা চক্রবর্তী ও বনি সেনগুপ্ত বৃহস্পতিবার টাকা ফেরত দিয়েছেন। ৬৩ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছেন সোমা। বনি ফেরত দিয়েছেন ৪৪ লক্ষ টাকা। এদিন এব্যাপারে সাংবাদিকরা কুন্তলকে প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যান তিনি।