সরকারের সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালের সমন্বয়ের অভাবই রাজ্যে অক্সিজেন সংকটের কারণ। মঙ্গলবার দা্যিত্ব গ্রহণের পর এই কথাই জানালেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তবে তিনি মনে করেন, খুব তাড়াতাড়ি এই অক্সিজেনের সংকট মিটে যাবে।
মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক বেসরকারি হাসপাতাল বেড সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে, যেটা অক্সিজেনের সঙ্গে ট্যাগ করা হচ্ছে না। তাতে বেশ কিছু সমস্যা হচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলি সরকারকে না জানিয়ে বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, যে হাসপাতালের খবরের কথা বলা হচ্ছিল, সেই হাসপাতালে অক্সিজেন পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু সেই হাসপাতালে কত বেড ছিল আর কত বেড সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে দেখা উচিত।
অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে কলকাতার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। সোমবার ও মঙ্গলবার মিলিয়ে কমপক্ষে তিনজন রোগীর মারা গিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও হাসপাতাল সূত্রে খবর, হাসপাতালে অঢেল অক্সিজেনের সিলিন্ডার পড়ে আছে। কিন্তু ফ্লো মিটারের অভাবে সেই সিলিন্ডার অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। অক্সিজেন সিলিন্ডারের মুখে লাগানো সেই ফ্লো মিটার লাগানো থাকে। সিলিন্ডার থেকে কতটা মাত্রায় অক্সিজেন রোগীর শরীরে যাবে, তা ফ্লো মিটারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফলে অক্সিজেন দেওয়ার ক্ষেত্রে ফ্লো মিটার অত্যন্ত জরুরি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সোমবার একটি সংস্থাকে ২০ টি ফ্লো মিটারের বরাত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা এখনও হাতে আসেনি বলে সমস্যা হচ্ছে।