ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় মৃত্যু হল আরও ১ জনের। মৃত প্রৌঢ়া উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। আগেই করোনা আক্রান্ত হন তিনি। মঙ্গলবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে তাঁর মৃত্যু হয়। মিউকরমাইকোসিসেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে বিশেষ কমিটি।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত এক প্রৌঢ়া সংক্রমণমুক্তির পর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হন। করোনার চিকিৎসায় তাঁকে স্টেরয়েড দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানে মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু নিয়ে এখনো কোনও মন্তব্য করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে জানা গিয়েছে, এখনো পর্যন্ত ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ৭ জন রোগী সেখানে ভর্তি হয়েছেন। তার মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগের।
চিকিৎসকরা বলছেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সম্পর্কে এখনো মানুষের মধ্যে সচেতনতা কম। তাই উপসর্গ বুঝতে অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। ফলে চিকিৎসাও শুরু হচ্ছে দেরিতে। অনেকের প্রাণ বাঁচানো গেলেও দৃষ্টিশক্তি চলে যাচ্ছে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ, করোনা থেকে সেরে ওঠার পর ডায়াবেটিস বা অন্য উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের বিশেষ সতর্ক হওয়া উচিত। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হয় শরীরের প্রতিরোধক্ষমতার অভাবে। তা বাড়াতে ভাল করে খাওয়াদাওয়া করা উচিত। বেশি করে খাওয়া উচিত শাক সব্জি। করোনা থেকে সেরে ওঠার পর নাকের ভিতরে কিছু আটকে রয়েছে বলে মনে হলে, শ্বাস নিতে সমস্যা হলে, নাক-গাল বা চোখে লালচে ভাব দেখা গেলে, মাথা বা দাঁতে যন্ত্রণা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন তাঁরা।