লেক গার্ডেন্সের গেস্ট হাউসে বান্ধবীকে নিশানা করে গুলি। জখম হয়েছেন ওই তরুণী। আর গুলিতে মৃত্য়ু হয়েছে যুবকের। মনে করা হচ্ছে তরুণীকে গুলি করার পরে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। সূত্রের খবর, দুজনেরই বাড়ি বজবজে। মনে করা হচ্ছে প্রণয়ঘটিত জটিলতার জেরেই এই ভয়াবহ পরিণতি।
আপাতত যাদবপুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই আহত তরুণীকে। লেক থানা এলাকায় নিউ মেট্রো নামে ওই গেস্ট হাউস। সেখানে তারা মাঝেমধ্যেই আসতেন কি না সেটা দেখা হচ্ছে। সম্ভবত প্রণয়ঘটিত কারণেই তাদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা হচ্ছিল। বুধবার বিকেল ৪টে ৫০ মিনিট নাগাদ গেস্ট হাউসের কেয়ারটেকার আচমকা গুলির আওয়াজ পান।
সূত্রের খবর, স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে পরিচয়পত্র দেখিয়েই তারা গেস্ট হাউসে ছিলেন। আর সেখানেই চলল গুলি। যুবক তার নিজের মাথায় গুলি করে বলে খবর।
সূত্রের খবর, মৃত যুবকের নাম রাকেশ কুমার শাহ। কোথা থেকে সে পিস্তল পেয়েছিল, তার কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে শহর কলকাতায় ফের গুলি চালানোর ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়েছে। পদস্থ পুলিশকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান।
গেস্ট হাউসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পুলিশ খতিয়ে দেখছে। বান্ধবীর তলপেট লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু কেন তাকে গুলি করা হল? কী নিয়ে বচসা? তা জানা যায়নি। তবে সূত্রের খবর, সম্পর্কের পরিণতি নিয়ে তাদের মধ্য়ে ঝামেলা হচ্ছিল। তার থেকেই ঝামেলা হতে পারে।
গেস্ট হাউসের তিনতলার একটি ঘরে ছিলেন তারা। আর সেখানেই গুলি। পরপর গুলির আওয়াজ শুনতে পান গেস্ট হাউজের কর্মীরা। এদিকে রক্তাক্ত অবস্থায় গেস্ট হাউসের রিসেপশনে এসেছিলেন যুবতী। তার পেটে গুলি করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল গেস্ট হাউসের ঘর। সেখানেই পড়ে ছিলেন যুবক। তার মাথায় গুলি লাগে। সেখানেই মৃত্যু হয়। তাদের বয়স ২৭-৩০এর মধ্যে।
এদিকে গত গত ১৪ জুন গভীর রাতে ফ্রি স্কুল স্ট্রিট চত্বরে দুষ্কৃতীদের গ্যাংওয়ারে এক যুবকের পায়ে গুলি লেগেছিল। ফের শহর কলকাতায় চলল গুলি। স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন, বাইকে রেষারেষি নিয়ে ২ দল যুবকের মধ্যে বিবাদের জেরে শুক্রবার বিকেল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মির্জা গালিব স্ট্রিট এলাকা। দু’দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। রাত বাড়লে যে যার বাড়িতে চলে যান ওই যুবকরা। গভীর রাতে প্রায় ৮০ জন যুবক দল বেঁধে ফের ওই এলাকায় ফিরে আসেন। তখন কিডস স্ট্রিট ও মির্জা গালিব স্ট্রিটের সংযোগস্থলে ঘুমাচ্ছিলেন এখলাস বেগ (২৯) নামে ওই যুবক। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ফহিমুদ্দিন। গুলি লাগে যুবকের পায়ে। এর পর এলাকা ছেড়ে পালায় দুষ্কৃতীরা।