ঠিক যেন বান্টি আর বাবলি। সিনেমার পর্দায় এই জুটি তো জনপ্রিয় হয়েছেই। এবার বাস্তবের মাটিতেও এমন এক দম্পতির খোঁজ পেয়েছে পুলিশ যাদের বিরুদ্ধে কৌশলে চুরি করার অভিযোগ উঠেছে। স্বামী–স্ত্রী দুজনেই এখন বেপাত্তা। তাঁদের দুজনকেই খুঁজছে পুলিশ।
স্বামী–স্ত্রী যে দুজনের বিরুদ্ধে প্রতারণা অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের নাম রূপায়ণ গুপ্ত ও মধুশ্রী চৌধুরী। ২০১৬ সালে রূপায়ণ একবার প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল। তখন লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। বছর খানেক জেলে কাটানোর পর ছাড়া পান তিনি। এরপর তাঁর সঙ্গী হন মধুশ্রী চৌধুরী। এবার স্বামী–স্ত্রী দুজনেই প্রতারণার জাল বুনতে শুরু করেন। ‘বান্টি’ রূপায়ন ‘বাবলি’ মধুশ্রীকে সঙ্গে নিয়ে নতুন একটি সংস্থা ফেঁদে বসেন প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে। আগেরবার যে ট্রাভেলিং সংস্থার নামে ব্যবসা চালাত, সেই নামে নয়। নতুন নাম নিয়ে সংস্থা খুলে বসে তারা। এবারও তারা অনেকজনকেই প্রতারিত করেছেন বলে পুলিশের কাছে খবর।
পুলিশ জানতে পেরেছে, রাহুল সেন নামে এক প্রবাসী বাঙালি ইতিমধ্যে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। কাতার থেকে কলকাতা হয়ে হিমাচল ঘুরে ফের কাতারে ফেরার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। পুলিশের কাছে রাহুল ইমেল মারফত জানিয়েছে, ট্যুর বাবদ দেড় লাখ টাকা খরচের কথা বলা হয়। অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়েও দেন রাহুল। সেইসঙ্গে পাসপোর্টের ফটোকপিও পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কলকাতার সময় এগিয়ে আসছে দেখে রূপায়ণ যখন ফোন করেন, তখন দেখেন রূপায়ণ, মধুশ্রীর ফোন দুটি সুইচ অফ। যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে লোক পাঠিয়েও কোনও খোঁজ মেলেনি। এরপরই পুলিশের অভিযোগ করেন রাহুল।
শুধু রাহুলই নয়, পুলিশের কাছে খবর, আরও অনেকেই এই প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়েছেন। শ্যামবাজারের বাসিন্দা গৌরব দাসেরও একই অভিজ্ঞতা। ট্যুর বাবদ অগ্রিম ৭০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন গৌরব। পরে সেই ট্যুর বাতিল করে টাকা ফেরত চাইলেও ফেরত পাননি তিনি। তারিখের পর তারিখ পালটে ফেরতের দিন পিছনো হয়। তারপর আর ওই দম্পতির সঙ্গে যোগাযোগই করতে পারেননি গৌরব।