কলকাতা পুলিশের নিজস্ব গাড়ি হোক বা ভাড়া করা গাড়ি, তাতে সংক্ষিপ্ত আকারে লেখা থাকে ‘কেপি’। আবার পুলিশের কর্মীরাও এই স্টিকার ব্যবহার করে থাকেন। সেই স্টিকার আগেই খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল লালবাজার। কিন্তু, তারপরেও এখনও বহু গাড়িতে এই স্টিকার রয়ে গিয়েছে। তাই অবিলম্বে এই লেখা স্টিকার খোলার জন্য ফের নির্দেশ দিল লালবাজার। কলকাতা পুলিশের প্রতিটি গাড়ি থেকে কেপি লেখা স্টিকার সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লালবাজারের প্রতিটি গার্ড, ডিভিশন এবং থানায় নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের গাড়ি দাঁড় করিয়ে কেপি লাগানো স্টিকার খোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মীদের উদ্দেশে ফরমান জারি করল লালবাজার, নির্দেশিকায় কোন কাজে কোপ পড়ল?
জানা যাচ্ছে, নির্দেশের পরেও বেশ কিছু পুলিশ কর্মী তাদের গাড়ি অথবা বাইকে কেপি স্টিকার লাগিয়ে রেখেছেন। তাছাড়া পুলিশের অনেক গাড়িতেও এই স্টিকার রয়েছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ফের কড়া নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। সেক্ষেত্রে জানানো হয়েছে, কেপি স্টিকার খোলা না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি জরিমানা করা হতে পারে।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, কেপি লেখা স্টিকার শুধু পুলিশের গাড়িতেই নয়, অনেক সাধারণ নাগরিকের গাড়িতেও দেখা যাচ্ছে। যার ফলে এই লেখার অপব্যবহার করা হচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহে নজরদারিতে বহু ভুয়ো কে পি স্টিকার লাগানো গাড়ি পুলিশের নজরে এসেছে। সেক্ষেত্রে গাড়ির চালকরা কেউ কেপি মিলিয়ে দোকানের নাম বা নিজের নাম বলছেন। কেউ কোনও শহরের বাসিন্দা বোঝাতেও কেপি লেখা ব্যবহার করছেন বলে জানাচ্ছেন। তাছাড়া অনেকেই এই লেখা স্টিকার দেখিয়ে দুর্ব্যবহার করেছেন। যদিও পুলিশকর্মীরা কেন কেপি স্টিকার লাগাতে পারবেন না তাই অবশ্য বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে কর্মীদের একাংশের মতে, এই শব্দ ব্যবহার করে অনেকের মধ্যে বাড়তি সুযোগ নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছিল। সেই কারণেই এই পদক্ষেপ লালবাজারের।
আরও জানা গিয়েছে, অনেক গাড়ি রয়েছে যেগুলি এক সময় লালবাজারের তরফে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় গাড়িতে কলকাতা পুলিশের অংশ হিসেবে কেপি স্টিকার লাগানো হয়েছিল। তবে সেরকম বহু গাড়ির বরাত বর্তমানে বাতিল হয়ে গিয়েছে। তবে তারপরও দেখা যাচ্ছে, ওই গাড়িগুলিতে কেপি স্টিকার লাগানো রয়েছে। আর সেই কেপি স্টিকারকে ঢাল করে এই গাড়িগুলির চালক বা মালিকরা ট্রাফিক আইন ভাঙছে। এছাড়াও, কেপি লেখা স্টিকার পাঠিয়ে সাইবার জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে। সেটা রুখতেও অন্য একটি কারণ এই পদক্ষেপ। লালবাজারের এক পুলিশ কর্তা জানান, সব গাড়ি থেকে এই স্টিকার সরাতে হবে। না হলে জরিমানার পাশাপাশি, আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।