বড়দিনের রাতে এবং বর্ষবরণের রাতে পথ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাতে দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে ঘটেছে পথ দুর্ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের কপালে পড়ে চিন্তার ভাঁজ। তাই নতুন বছরে পথ দুর্ঘটনা কমাতে নয়া দাওয়াই দিল কলকাতা পুলিশ। এখন রাস্তাঘাটে ‘ব্রেথ অ্যানালাইজার’ ব্যবহার করছেন কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা। কিন্তু তারপরও ঘটছে পথ দুর্ঘটনা। তাই এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় নয়া উদ্যোগ নিল লালবাজার।
নয়া দাওয়াই ঠিক কী? লালবাজার সূত্রে খবর, এবার থেকে মদ্যপান করার পর সংশ্লিষ্ট পানশালাতেই পরীক্ষা দিতে হবে ‘নেশা’র। শহরের পানশালাগুলিতে অবিলম্বে ‘ব্রেথ অ্যানালাইজার’ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ গিয়ে পৌঁছেছে শহরের সব পানশালায়। যদিও এই নির্দেশ নিয়ে আপত্তি তুলেছেন পানশালা মালিকরা। তবে এই নির্দেশ দিয়েছেন লালবাজারের যুগ্ম কমিশনার (সদর)। তাঁর নির্দেশে বলা হয়েছে, পানশালা থেকে বেরোনোর সময় এই পরীক্ষা বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে। চার চাকার গাড়ি ও মোটরবাইক চালিয়ে যাঁরা ফিরবেন তাঁদের জন্যই এই নির্দেশিকা। শহরে পথ দুর্ঘটনা কমাতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ ধরা পড়েন অতিরিক্ত নেশা করেছেন তাহলে পানশালা কর্তৃপক্ষকে বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে।
পানশালা মালিকদের কী বক্তব্য? শীতের কলকাতায় পানশালাগুলিতে ভিড় বেড়েছে। এই বিষয়ে পানশালার মালিকরা বলছেন, রাজ্যে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ নিয়ে প্রচার হচ্ছে। এখন যে কাজ পুলিশ করত সেটা পানশালার ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কেউ মদ্যপান করে গাড়ি চালালে তার দায় তো পানশালার হতে পারে না। আর এসব করতে গেলে পানশালার অন্দরে ঝামেলা হতে পারে। সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। তখন কে দায়িত্ব নেবে?
পুলিশ ঠিক কী বলছে? কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পানশালাগুলিতে ব্রেথ অ্যানালাইজার রাখতে হবে। পানশালা থেকে মদ্যপান করে বেরোনোর সময় পরীক্ষা করতে হবে। এই বিষয়ে লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘এটা চালু হলে পুলিশের কাজ অনেকটা সহজ হবে। খুবই ভাল প্রস্তাব। এটা পুলিশের এমন প্রচেষ্টা, যা সফল হলে খুবই ভাল হবে। কিন্তু একইসঙ্গে বাস্তবতাটাও বুঝতে হবে।’