রাত পোহালেই দোল ও হোলি উৎসব। এই দিনে অনেকে মদ্যপান করে থাকেন। আর ওই অবস্থাতেই জলকেলি করতে নানা ঘাটে নেমে পড়েন। সেখান থেকেই ঘটে অঘটন। এবার এই সুরাপ্রেমীদের দোলের আগে কড়া বার্তা দিল লালবাজার। শুক্রবার ও শনিবার কলকাতার অন্তত ৬৬টি ঘাটে কড়া নজরদারি রাখছে পুলিশ। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। এমনকী দোলের দিন মদ্যপান করে এলাকার পুকুর বা জলাশয়ে যাতে কেউ না নামেন তার জন্য স্থানীয় ক্লাবগুলিকে সতর্ক করেছে পুলিশ। তবে রাস্তায় প্রচুর পুলিশ থাকবে টহলরত অবস্থায়।
পুলিশের উপর হামলা এবং বচসা করলে সরাসরি লকআপে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাত পোহালেই দোল–হোলি উৎসব। ইতিমধ্যেই নানা এলাকায় এবং প্রত্যেকটি ঘাটে থানার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। যাতে আগামীকাল মদ্যপান করে ঘাটে কেউ না নামেন। কোনও হিংসার ঘটনা ঘটলে পুলিশ যাতে দ্রুত সেখানে পৌঁছতে পারে আজ তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অলিগলিতে টহল দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। লালবাজারকে প্রত্যেক মুহূর্তের আপডেট দিতে হবে স্থানীয় থানাগুলিকে। প্রস্তুর রয়েছে পুলিশের বাইক বাহিনীও। শহরে সম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রচুর পুলিশ রাস্তায় নামানো হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পড়ুয়াদের জন্য শিক্ষক নিয়োগ দ্রুত করতে হবে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
পুলিশের সূত্রে খবর, গত দু’বছরে দোলের দিন কলকাতায় গঙ্গা এবং জলাশয়ে ডুবে তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার এমন পদক্ষেপ কলকাতা পুলিশের। কলকাতার ৬৬টি ঘাটে পুলিশ পোস্টিং করা হচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছে গঙ্গার ঘাট এবং একাধিক দিঘি ও জলাশয়। কলকাতা পুলিশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের সদস্যদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। সুরক্ষা ও নিরাপত্তার পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের নজর থাকছে মাতাল হয়ে কেউ যেন জলে না নামেন। এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হচ্ছে।
এই দোল ও হোলির দিন যাতে কোনও গোলমাল, অশান্তি, হিংসা, আক্রমণ না হয় তার জন্য কলকাতা শহরজুড়ে মোতায়েন করা হচ্ছে প্রায় ২১০০০ পুলিশ। রাস্তায় থাকছেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এবং ডিসি পদমর্যাদার পুলিশ অফিসাররাও। একশোর বেশি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকছে পুলিশ পিকেট। শহরজুড়ে টহল দেবে ৫৮টি ভ্যান। পুলিশের বাইক টহল দেবে। বহুতলের ছাদ বা বারান্দা থেকে পথচারীদের দিকে রং, জলভর্তি বেলুন ছুঁড়লে পুলিশ পদক্ষেপ করবে। রাস্তার কুকুরদের শরীরে রং লাগানো যাবে না।