শহর কলকাতায় ট্রাফিক পুলিশকে নিগ্রহ করার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। গাড়ি চালক হোক বা বাইক চালক, প্রায়ই ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশকে নিগ্রহ করার অভিযোগ ওঠে। তাই অভিযুক্ত যাতে মিথ্যা বলতে না পারে তার জন্য ট্রাফিক পুলিশ কর্মীদের শরীরে বডি ক্যামেরা রাখার ব্যবস্থা করেছিল লালবাজার। কিন্তু, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ঠিকমতো বডি ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে না। যার ফলে নির্দিষ্ট ঘটনা বা অভিযোগ রেকর্ড হচ্ছে না। সম্প্রতি এরকম বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। তারপরেই বডি ক্যামেরা ব্যবহার নিয়ে নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর বা এসওপি জারি করল লালবাজার।
আরও পড়ুন: বডি ক্যামেরার ফুটেজ কতদিন, কীভাবে সংরক্ষণ করতে হবে? এসওপি চালু করল লালবাজার
কী বলা হয়েছে এসওপি’তে?
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার ১০ দফা এসওপি জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কাজে যাওয়ার আগে দেখে নিতে হবে বডি ক্যামেরার মেমোরিতে জায়গা রয়েছে কিনা। কথোপকথন বা ঘটনার সময় বডি ক্যামেরা অন রাখতে হবে। প্রতিদিনের কাজের শেষে ট্রাফিক বিভাগের প্রতিটি পুলিশ কর্মীকে ট্রাফিক বিভাগের গার্ডের হার্ডডিক্সে ফুটেজ সংরক্ষণ রাখতে হবে।
কতদিন ফুটেজ সংরক্ষণ করা যাবে? বা ডিলিট করার ক্ষেত্রে কী নিয়ম? সে বিষয়টিও এসওপিতে জানানো হয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী, ফুটেজ ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। তারপরে যদি ডিলিট করতে হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে ডেপুটি কমিশনারের অনুমতি নিতে হবে। ডিলিট করতে গেলেও তা জেনারেল ডায়েরি করে নথিভুক্ত করতে হবে বলে এসওপিতে জানানো হয়েছে। আর পুলিশ এই সমস্ত নির্দেশ মেনে চলছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসি পদমর্যাদার অফিসারদের। তারা প্রতি মাসে সব কিছু খতিয়ে দেখার পর ডেপুটি কমিশনারকে রিপোর্ট দেবেন।
তাছাড়া কোনও বডি ক্যামেরা ঠিকমতো কাজ না করলে উচ্চপদস্থ কর্তাদের জানাতে হবে। এমনকী প্রয়োজন হলে তা নিয়ে জেনারেল ডায়েরিও করতে হবে। পাশাপাশি বডি ক্যামেরার ভিডিয়ো কোনওভাবেই এডিট করা যাবে না। থানার বাইরে যাবে না হলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও এই বডি ক্যামেরায় মাত্র কয়েক ঘণ্টার ভিডিয়ো রেকর্ডিং সম্ভব। তবে এর ফলে সমস্যার দ্রুত সমাধান সম্ভব বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। প্রতিটি ট্রাফিক গার্ডের প্রতিটি অফিসার এবং পুলিশ কর্মীকে সেই নির্দেশ বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলতে বলা হয়েছে।