কোথাও অনুষ্ঠান বা জমায়েতে ডিউটি আছে? সরাসরি সেখানে গিয়ে হাজির হলেন পুলিশকর্মী। তবে এবার সেই চিরাচরিত রেওয়াজ বন্ধ করতে চাইছে কলকাতা পুলিশ। গত সপ্তাহে লালবাজারের তরফে একটি নির্দেশ জারি করা হয়েছে। একটি বাংলা সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সেই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, কোথাও আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এনিয়ে আগাম আশঙ্কা থাকলে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কিন্তু বহুক্ষেত্রেই সেই স্পটে চলে যেতেন পুলিশকর্মীরা। তবে এবার সেই স্পটে যাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে ইউনিটের সদর দফতরে রিপোর্ট করতে হবে। এরপর সেখান থেকে গাড়িতে চেপে তাদের সংশ্লিষ্ট স্পটে যেতে হবে।
আবার ডিউটি শেষ হল আর বাড়ি চলে গেলাম সেটা আর চলবে না। এবার থেকে ডিউটি শেষ করার পরে আবার ইউনিটের সদর দফতরে ফিরে আসতে হবে। সেখানে ইউনিটের তরফে সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীরা উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত করা হবে। তারপরই তারা বাড়ি যেতে পারবেন।
অন্যদিকে ডিউটিতে যাওয়ার সময় আলাদা করে ব্যাগ বা অন্য কিছু নিয়ে নেওয়া যাবে না। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নয়া নির্দেশিকায়। এর জেরে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছেন পুলিশকর্মীদের একাংশ।
কলকাতা পুলিশকে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সঙ্গে তুলনা করা হয়। এতটাই দক্ষ কলকাতা পুলিশ। তবে সেই ফোর্সকে আরও সুশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কিন্তু কেন এমন করা হচ্ছে? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দেশের একাধিক ফোর্সে এই ধরনের নিয়মই রয়েছে। তাদেরকে ইউনিটে গিয়ে রিপোর্টিং করতে হয়। তারপর তাঁরা আউটপোস্ট অথবা অন্য় জায়গায় ডিউটিতে যান। কিন্তু পুলিশের একাংশের ক্ষেত্রে কিছুটা গা ছাড়া ব্যাপার থাকে। তাছাড়া অনেক সময় দেখা যায় সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগেই ডিউটি পোস্ট ছেড়ে চলে যান পুলিশকর্মী। সেকারণেই এই কড়াকড়ি করা হচ্ছে। তবে সূত্রের খবর, আগে থেকেই এই নিয়ম রয়েছে পুলিশ মহলে। কিন্তু অনেকেই সেটা মানতেন না। সেটাই আবার নতুন করে কড়াকড়ি করা হচ্ছে।
তবে এই নির্দেশিকার জেরে কিছুটা হলেও বেকায়দায় পড়েছেন ফাঁকিবাজ পুলিশকর্মীদের একাংশ। মূলত তাঁদের একটু বেশি সময় ডিউটি করতে হচ্ছে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে পুলিশ মহলে। এভাবে নজরদারির মধ্যে রাখলে অনেক ক্ষেত্রেই বাড়ি যেতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। তবে সশস্ত্র পুলিশকে অবশ্য় অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য ইউনিটে যেতেই হয়।