আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে লাগাতার বিক্ষোভ-মিছিল চলছে। তারই মধ্যে মঙ্গলবার ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে ঘটেছে অপ্রীতিকর ঘটনা। নবান্ন অভিযানে গোলমালের খবর পেয়ে গাড়ি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যেতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী। আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইট সোজা গাড়ির কাচ ভেঙে লেগেছিল সার্জেন্টের চোখে। যার ফলে গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি। এমনকী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চোখের রেটিনা। চিকিৎসকরা বলছেন, তিনি দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন। এই অবস্থায় এই ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি এড়াতে বিশেষ নির্দেশ দিল লালবাজার।
আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযান আর বিজেপির বনধে কলকাতায় ক্ষতি ২০০০ কোটির, ইস্যু পেয়ে গেল তৃণমূল
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নবান্ন অভিযানের দিন এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার গাড়ির মধ্যে থাকা পুলিশ কর্মীদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে তৎপর হয়েছে লালবাজার। এবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ যে সব গাড়ি ব্যবহার করে থাকে তার সামনে, পিছনে এবং জানলায় শক্ত জাল লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। গত বৃহস্পতিবার রাতে লালবাজারের ট্রান্সপোর্ট বিভাগ এই মর্মে সমস্ত থানা, অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার এবং ডেপুটি কমিশনারদের নির্দেশ পাঠিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। তারপরে লালবাজারে ট্রান্সপোর্ট বিভাগে নির্দেশ কার্যকারিতা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
লালবাজারের তরফে এই নির্দেশে নবান্ন অভিযান ঘিরে আন্দোলনকারীদের হাতে পুলিশ কর্মীদের আক্রান্ত হওয়া এবং গাড়ি ভাঙচুরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত সুরক্ষার জন্য লালবাজারের এমন নির্দেশ। আধিকারিকদের আশা এর ফলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য গাড়িতে থাকা পুলিশ কর্মীরা জখম এড়িয়ে যেতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযানে বিরোধীরা পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তুললেও সেই ঘটনায় আন্দোলনকারীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ জন পুলিশ কর্মী। যার মধ্যে দেবাশিস সহ পাঁচ জনের অবস্থা গুরুতর। এখনও তাঁদের চিকিৎসা চলছে। গাড়ির মধ্যে থাকা পুলিশ কর্মীদের সুরক্ষা দিতে ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশের বেশ কিছু প্রিজন ভ্যানে লোহার জাল ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া বন্দর এলাকায় প্রায়ই হিংসার ঘটনা ঘটে। সেই কারণে ওই এলাকার ওসির গাড়িতেও লোহার জল লাগানো রয়েছে।