খাস কলকাতার বুকে দিব্যি কল সেন্টার খুলে জাঁকিয়ে বসেছিল প্রতারকরা। লুঠ করা হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ানদের। প্রতারিত অস্ট্রেলিয়ানদের ভুরিভুরি অভিযোগ জমা পড়েছিল লালবাজারে। তদন্তে নেমে ভুয়ো কল সেন্টার চক্রের পর্দা ফাঁস করল লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। কল সেন্টার থেকে গ্রেফতার করা হল ১৪ জন অভিযুক্তকে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের একটি অফিসে হানা দেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকেই ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণার অভিযোগে হাতেনাতে ওই ১৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁদের কাছে ই-মেল করে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন অস্ট্রেলিয়ানরা।
বিভিন্ন সময় বিদেশিদের ফোন করে পরিষেবা দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্র গজিয়ে উঠেছে শহরজুড়ে। ২৫ জুন তিলজলা ও কসবা এলাকা থেকে একই ধরনের প্রতারণা চক্রের চাঁইদের গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যের নামে বিদেশিদের কাছে ইমেল মারফত ম্যালওয়্যার পাঠিয়ে হ্যাক করে নেওয়া হচ্ছিল তাদের ল্যাপটপ কিম্বা কম্পিউটার। সেখান থেকেই তাঁদের ব্যাঙ্ক ডিটেইলস হাতিয়ে নিচ্ছিল প্রতারকরা। শুধু তাই নয়, ভাইরাস জাতীয় সফটওয়্যার পাঠিয়ে সামুহিকভাবে খারাপ করে দেওয়া হচ্ছিল, তাঁদের ল্যাপটপ, কম্পিউটার। তারপর কম্পিউটার, ল্যাপটপ সারিয়ে দেওয়ার নামে তাঁদের ফোন করে মোটা অঙ্কের বিল ধরিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছিল মার্কিন নাগরিকদের। অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় লালবাজারের সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে প্রথমে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। এবারও একইরকম ভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছিলেন অস্ট্রেলিয়ানরাও। এরপর ২৯ জুনে গ্রেফতার করা হয় আরও একজনকে। ধৃত ৫ জনকে জেরা করে এই ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ পান তদন্তকারীরা। তার পরেই ওই ১৪ জনকে সল্টলেকের একটি অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়। ভুয়ো কল সেন্টার চালানোর অভিযোগে এই নিয়ে মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে লালবাজার।