ব্যস্ত শহর হওয়ায় যানজট নিত্যদিনের ঘটনা কলকাতায়। তাই কলকাতার ট্রাফিক ম্যানুয়াল সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয় করা হয়েছে। এমনকী স্বয়ংক্রিয় থেকে অপটিক্যাল ফাইবারের কানেকশন যুক্ত করা হয়েছে। এভাবেই কলকাতার ট্রাফিক সিগন্যালের ব্যবস্থায় একাধিক প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নিয়ে এসেছে লালবাজার। এবার সিগন্যাল ম্যানেজমেন্টে যুক্ত হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই। শহরের কোথায় যানবাহনের চাপ কতটা সেটা এআইয়ের সাহায্যে চিহ্নিত করে গুগল। সেই ডেটা তারা সরাসরি পাঠাবে ট্রাফিক পুলিশের কন্ট্রোল রুমে। আর ওই সিগন্যালে কত স্টপেজ টাইম প্রয়োজন সেটাও বলে দেবে গুগল। ফলে রিয়েল টাইম ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট করবে পুলিশ।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটতে চলেছে? লালবাজার সূত্রে খবর, এখন গুগলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে একটি পাইলট প্রজেক্ট শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। যার মূল উদ্দেশ্য— শহরকে আরও বেশি গতিময় করে তোলা। তার জন্য তৈরি হচ্ছে ট্রাফিক সিগন্যাল ম্যানেজমেন্টে। ইতিমধ্যেই কলকাতার সমস্ত সিগন্যালকে স্বয়ংক্রিয় করা হয়েছে। শহরে যানজটের কথা মাথায় রেখে গুগলের সাহায্য নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। ‘রিয়েল টাইমে’ শহরের কোন রাস্তায় গাড়ির চাপ কতটা, কোন ক্রসিংয়ে যানজট রয়েছে, বিকল্প কোন রাস্তা দিয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছনো যায়—সব তথ্য গুগলের নখদর্পণে।
কেমন করে কাজটি হবে? কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে তথ্য পৌঁছে দেবে গুগল। দিনের কোন সময়ে কোথায় গাড়ির চাপ বেশি, রাস্তার হাল–হকিকত এমনকী শহরের প্রতিটি সিগন্যালে কত মিনিট স্টপেজ টাইম দরকার সেটাও নির্ধারণ করবে গুগল। আর সেই স্টপেজ টাইমের হিসেব আসবে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে। সেটা দেখে কাজ করবেন কর্তব্যরত অফিসাররা। কন্ট্রোল রুম থেকে বোতাম টিপে সংশ্লিষ্ট ক্রসিংয়ের স্টপেজ টাইম ঠিক করবে ট্রাফিক পুলিশ।
আর কী জানা যাচ্ছে? গুগলের সঙ্গে ইতিমধ্যেই গাঁটছড়া বেঁধে এই পাইলট প্রজেক্ট গ্রহণ করা হয়েছে। আর সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে শীঘ্রই পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবস্থাটি চালু করা হবে। অফিস টাইমে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে গোটা শহরে এই ব্যবস্থা নিয়ে আসবে লালবাজার। গুগলের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স পুলিশকে তথ্য জানাবে। সেই অনুযায়ী কন্ট্রোল রুম থেকে সিগন্যাল টাইম কমানো বা বাড়ানো হবে।