সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে সাদা পোশাকের পুলিশ গিয়েছিল বলে ছাত্রছাত্রীদের একাংশের দাবি। এনিয়ে তারা তীব্র আপত্তি তুলেছিলেন। এমনকী অধ্য়াপকদের একাংশও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে পুলিশ আসা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। তারপর অবশ্য় পুলিশ চলে গিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তবে এবার সেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েই পুলিশ আউটপোস্ট তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে ক্যাম্পাসের কোন জায়গায় এই ধরনের আউটপোস্ট করা যায় সেই জায়গা চিহ্নিত করতে চিঠি দিয়েছে লালবাজার। একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমন খবর মিলেছে।
এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই যাদবপুরের একাংশের অন্দরে এনিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে পুলিশ থাকার বিষয়টি কতটা মেনে নেবেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
প্রসঙ্গত বছর দশেক আগে এই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ প্রবেশ নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। এমনকী দিনের পর দিন নিয়ে এনিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কিছুটা হলেও পিছু হঠেছিল রাজ্য সরকার।
এদিকে সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির সামনে তীব্র বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। তাঁর গাড়ির কাঁচ ভাঙা হয়েছিল। এদিকে সেই গাড়ির নীচে চাপা পড়েছিলেন এক ছাত্র। তারপর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দফায় দফায় উত্তেজনা। এসবের মধ্য়েই এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ আউটপোস্ট তৈরির ব্যাপারে কথাবার্তা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত কতটা মেনে নেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ সেটাই দেখার। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি আউটপোস্ট তৈরি হয় তবে সেটা ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে।
সূত্রের খবর, যাদবপুরের বিশেষত প্রযুক্তি বিভাগে অতি বাম ছাত্রছাত্রীদের তৎপরতা তুঙ্গে। তবে কি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ আউটপোস্ট থাকলে অতি বামদের তৎপরতা কিছুটা হলেও কমবে?
তবে সোমবার সাদা পোশাকে পুলিশ গিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রকে যখন বাধা দিয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীরা তখন তার ধারে কাছে সাদা পোশাকে পুলিশ ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের কাছেও ছিল পুলিশ। সেই সময় অধ্য়াপকদের একাংশও আপত্তি তুলেছিলেন এই পুলিশ থাকা নিয়ে। এমনকী পুলিশ কে ডেকেছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। তবে সেই সময় অধ্য়াপক ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেছিলেন তিনি পুলিশ ডাকেননি।
তবে এবার একেবারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য়েই পুলিশ আউটপোস্ট তৈরির সিদ্ধান্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে নজরদারি করা ও শান্তি বজায় রাখার জন্য পুলিশ থাকতে পারে ২৪ ঘণ্টা। তেমনটাই চিন্তাভাবনা করছে লালবাজার। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পুলিশ চিঠি দিয়েছে বলেও খবর।