আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গোটা দেশ জুড়ে তোলপাড়। সামনেই দুর্গাপুজো। এখনও পর্যন্ত প্রতিবাদের রেশ কোনও অংশে কমেনি। তবে এসবের মধ্য়েই হাজরা থেকে কার্যত বোমা ফাটালেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সরাসরি তাঁর নিশানায় বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, লালু প্রসাদ যদি গ্রেফতার হতে পারেন তবে মমতা কেন গ্রেফতার হবেন না। নিশানা একেবারে নির্দিষ্ট, মমতা কেন গ্রেফতার হবেন না?
এদিকে পুজোর জন্য় আপাতত আন্দোলন কিছুটা স্থগিত রাখছে বিজেপি। খোদ দলের রাজ্য সভাপতি এনিয়ে জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন মমতাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। নবান্ন অভিযান করা হবে। সাফ জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এদিকে শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, এই রাজ্যের অপরাধীদের মূল চালিকা শক্তি হল রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর পদত্যাগ না হলে অপরাধীরা শাস্তি পাবে না।
হাজরার জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব শিলিগুড়ির বিধায়ক। সেই সভায় শঙ্কর ঘোষ বলেন, মুখ্য়মন্ত্রীর পদত্যাগ এই দাবিকে সামনে রেখে আরজি করের ঘটনার পর থেকে আমরা যখন রাস্তায় নেমেছি অনেকে এই প্রশ্ন করেছিলেন, আরজি করের অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি কতটা সঙ্গতিপূর্ণ? আজকে রাজ্যের অধিকাংশ মানুষ এটা উপলব্ধি করছেন যে এই রাজ্যের অপরাধীদের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছেন রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী। তাঁর পদত্যাগ না হলে অপরাধীরা শাস্তি পাবে না।
সেই সঙ্গেই লালু প্রসাদের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ আনেন শিলিগুড়ির বিধায়ক। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হয়েছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। ২০০০ সালে লালুপ্রসাদ যাদবকে জেলে যেতে হয়েছিল। ২০০২ সালে রাবড়িদেবী মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। লালুপ্রসাদ জেল থেকে বেরিয়ে রেলমন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে এনডিএ সরকারের সময়ে এই লালুপ্রসাদ যাদব দোষী প্রমাণিত হন। ২০২০ সালে লালুপ্রসাদ যাদবকে বাকি শাস্তি অংশটুকু পালন করতে হয়েছিল। অনুব্রত থেকে শুরু করে, মানিক থেকে শুরু করে যারা জামিনে বের হচ্ছেন, এটা ভাববেন না আপনারা অপরাধ থেকে খালাস পেয়ে গিয়েছেন। যাঁরা আপনাদের মালা পরাচ্ছেন তাঁদেরও আমরা লক্ষ্য রাখছি। আজ নয় কাল সব কটাকে জেলে ঢোকাব। হুঙ্কার দিলেন শঙ্কর ঘোষ।
জুনিয়র ডাক্তাররা সরাসরি মমতার ইস্তফার দাবি তোলেননি। তবে বিজেপির দাবি কিন্তু দফা এক দাবি এক মমতার পদত্যাগ।