রাজারহাট-নিউ টাউন এলাকায় জমি বণ্টন ও ব্যবহারের যথাযথতা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারের রাজ্যভিত্তিক প্রশাসনিক বৈঠকে এই নির্দেশ দেন তিনি। সূত্রের দাবি, ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিশেষভাবে দেবাশিস সেনের সময়ে হিডকোর চেয়ারম্যান হিসেবে জমি বণ্টনের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মমতা জানতে চান, জমিগুলির সঠিক ব্যবহার হচ্ছে কি না।
সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী, যিনি বর্তমানে অর্থ দফতরের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, হরি কৃষ্ণকে নবান্নের কার্যালয়ে না থেকে হিডকোতে বেশি সময় দিতে হবে এবং সেখান থেকে জমি বণ্টন ও ব্যবহারের বিষয়গুলি অনুসন্ধান করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
দীর্ঘদিন হিডকোর শীর্ষপদে ছিলেন প্রাক্তন আইএএস দেবাশিস সেন। অবসরের পরেও তাঁকে হিডকোর দায়িত্বে রেখেছিল নবান্ন। তবে সম্প্রতি সেই পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পর প্রশাসনের অন্দরে জল্পনা বেড়েছে এবং এর কারণ নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। দেবাশিস সেনের আমলে জমি বণ্টন সংক্রান্ত বিতর্ক আদালতের দরজা পর্যন্ত গড়িয়েছে।
আরও পড়ুন। চব্বিশের লোকসভা ভোটেও শূন্য হাতে বামেরা, কংগ্রেসের ভরসায় কি উপনির্বাচনে লড়াই?
মমতার এই পদক্ষেপ রাজারহাট-নিউ টাউন এলাকার জমি বণ্টন ও ব্যবহারের স্বচ্ছতা এবং যথাযথতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জমির সঠিক ব্যবহার না হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এর ফলে ভবিষ্যতে জমি বণ্টন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রশাসনের সূত্রের মতে, জমি বণ্টনের বিষয়টি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য হিডকোর সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবেন হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী। মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ রাজারহাট-নিউ টাউন এলাকার উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।