নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করতে কি ভয় পাচ্ছে ইডি? মঙ্গলবার এই প্রশ্ন করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এদিন আদালত জানিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেকের বিরুদ্ধে তদন্তে কী অগ্রগতি হয়েছে তা ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে ইডিকে।
গত ২০ অগাস্ট নিউ আলিপুরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের দফতরে হানা দেয় ইডি। ১৮ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে মঙ্গলবার সকালে সেখান থেকে প্রচুর নথি, ১টি হার্ড ডিস্ক ও ১টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে বেরোয় তারা। সেদিন বিকেলে এক সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যখন খুশি ঢুকে পড়ছে। তার পর সবাইকে সেখান থেকে বার করে দিচ্ছে। তল্লাশির নামে যে বন্দুক বা বিস্ফোরক রেখে যাবে না তার কী নিশ্চয়তা আছে? পরদিন ২৩ অগাস্ট এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইডি জানায়, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের চিফ অপারেটিং অফিসার ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। আর সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে ‘আমার অফিসে’ তল্লাশি হয়েছে বলে দাবি করেন অভিষেক।
এদিন মামলাকারীদের আইনজীবী বলেন, ইডির বিজ্ঞপ্তি বলছে অভিষেক এখনও লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও। তার পরেও তাঁকে এখনো জেরা করেনি ইডি। উলটো দিকে অভিষেক এই তদন্ত থেকে নিষ্কৃতি চেয়ে মামলা করেছেন। সেই মামলার শুনানি ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। রায়দানের অপেক্ষা করা হচ্ছে।
একথা শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ইডির আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, অভিষেক সংস্থার সিইও হলে তাঁকে সমন পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেননি কেন? আপনারা কি তাঁকে তলব করতে ভয় পাচ্ছেন? জবাবে ইডির আইনজীবী বলেন, ‘দরকার হলে তাঁকে আবার ডাকা হবে।’ পালটা বিচারপতি সিনহা প্রশ্ন করেন, ‘এতদিন তলব করেননি কেন? কী তদন্ত হচ্ছে কে জানে? অভিষেকের বিরুদ্ধে তদন্তে কী অগ্রগতি হয়েছে তা ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে ইডিকে।’