বাম জমানাতেও ফরওয়ার্ড ব্লক ও সিপিএমের মধ্যে নানা ইস্যুতে বিরোধ লেগেই থাকত। এমনকী কোচবিহার, জলপাইগুড়ির একাংশের ফব-সিপিএম বিরোধকে ঘিরে রক্তও ঝড়েছে বার বার। এবার ভোটে ভরাডুবির পরে সেই ফব নতুন করে সুর চড়াতে শুরু করেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। মূলত কংগ্রেস ও আইএসএফের সঙ্গে জোটকে ঘিরেই আপত্তি তুলেছেন ফব নেতৃত্ব। ফ্রন্ট চালানো নিয়ে সিপিএম বার বার নানা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে বলেও আপত্তি তুলেছিলেন ফব নেতৃত্ব। বামফ্রন্টের বৈঠকেও নারাজ ছিলেন তাঁরা। তবে সেই বরফ আপাতত কিছুটা গলেছে।
ফব সূত্রে খবর, গণ আন্দোলন থেকে নির্বাচনী সংগ্রাম সর্বত্র বামফ্রন্ট মুখ্য ভূমিকা নেবে এই আশ্বাস ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু দিয়েছেন। এরপর বৈঠকে যাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও আপত্তি নেই ফব নেতৃত্বের। তবে জোট প্রসঙ্গে ফবর রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘দীর্ঘকাল বামফ্রন্ট একাই মানুষকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করেছে। কিন্তু ২০১৬ সাল থেকে বামফ্রন্ট ক্রাচ নেওয়া শুরু করল। এবার একদিকে বাজার অর্থনীতির প্রবক্তা একটি দল, অন্যদিকে সাম্প্রদায়িক শক্তি দুই ক্রাচ দুই বগলে নিয়ে লড়াই করা মানুষ পছন্দ করেনি। তাই আমাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। মানুষ চান, ক্রাচ ছেড়ে বামফ্রন্ট নিজের পায়ে চলুক।’
তবে সিপিএমের অন্দরমহল সূত্রে খবর, আলোচনা, পর্যালোচনা হতে পারে। তবে এখনই জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা নেই। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, সিপিএমকে চাপে রাখতে অতীতেও নানা কৌশল নিয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লক। এবারও কী হেরে যাওয়ার পর সেই একই পথে ফব?