বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটে যোগ হয়েছে নতুন কাঁটা। অধীররঞ্জন চৌধুরীকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার দাবিতে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছে কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ। আনুষ্ঠানিক জোট প্রক্রিয়া শুরুর আগেই কংগ্রেসের এই আচরণে বামেদের ওপর চাপ বেড়েছে। তবে রবিবার আলিমুদ্দিনে বামেদের বৈঠকের পর বিমান বসু নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ছাড়াই ভোটে লড়বে জোট।
রবিবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিআইএমের সদর দফতরে ছিল ১৬টি বাম দলের বৈঠক। সেই বৈঠকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটপ্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিমানবাবু বলেন, ‘কংগ্রেস একটা পৃথক দল। তাদের নেতারা কী বলেছেন তা নিয়ে আমার মন্তব্য করা অনুচিত। আমাদের সঙ্গে তাদের এখনো জোট নিয়ে কোনও কথা হয়নি। যৌথ আন্দোলন নিয়ে কথা হয়েছে। যৌথ আন্দোলনের মাধ্যমে ঐক্য গড়ে তুলবে দুপক্ষ।’
বিমানবাবুর দাবি, অতীতে পশ্চিমবঙ্গে কখনো মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করে ক্ষমতায় আসেনি বিরোধীরা। ১৯৬৭, ১৯৬৯ সালের যুক্তফ্রন্ট সরকার, ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার গঠনের আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিল না। ১৯৭৭ সালে মানুষই জানতেন বামেরা ক্ষমতায় এলে জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী হবেন। এমনকী ২০১১ সালেও তৃণমূল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করেনি। তিনি বিধানসভা নির্বাচনেও লড়েননি। তবে সবাই জানত তৃণমূল জিতলে মমতাই মুখ্যমন্ত্রী হবেন।
বিমান বসু বলেন, জোট গঠনের আগে যৌথ কর্মসূচির মাধ্যমে দুদলের ঐক্য গড়ে তোলা দরকারি। সেজন্য প্রায় রোজই রাজ্যের কোথাও না কোথাও যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করছে বাম ও কংগ্রেস।