বাঘাযতীনের পর এবার বহুতল হেলে পড়েছে ট্যাংড়ায়। সেই বিষয়টি সামনে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছে কলকাতা পুরসভা। যদিও বাড়িটি নির্মীয়মাণ ফলে সেখানে কোনও মানুষের বসবাস ছিল না। তবে শহর কলকাতায় বারবার এই ধরনের ঘটনায় তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। পুরসভার ভূমিকা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন। এই অবস্থায় এই ধরনের ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতা পুরসভায় বিক্ষোভ দেখালেন বাম কাউন্সিলররা। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি ৯৯ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বেআইনি নির্মাণ রুখতে এবার নকশা ওয়েবসাইটে আপলোড করবে হাওড়া পুরসভা
বুধবার একাধিক স্লোগান তুলে মেয়রের দফতরের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন বাম কাউন্সিলররা। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে তাঁরা বিক্ষোভ করেন। পরে মেয়রের ঘরে ঢুকে দীর্ঘ আলোচনার পর মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ডেপুটেশন জমা দেন বাম কাউন্সিলররা।
এদিন ডেপুটেশন দিয়ে বামেদের তরফে দাবি করা হয়, যে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে গত বছরের জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৫৫০টি বেআইনি বাড়ি নির্মাণ হয়েছে কলকাতায়। ২৫০টি বাড়ি বিল্ডিং বিভাগ পরিদর্শন করেছে। তবে বাকিগুলি পরিদর্শন করা হয়নি। এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলার, পুলিশ এবং প্রোমোটারদের একসঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন বামেরা। ডেপুটেশনে ৯৯ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে মেয়রের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কেন প্রোমোটারকে ক্লিক চিট দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
তাদের বক্তব্য, অনেকেই সবকিছু বিক্রি করে দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানান বামেরা। মেয়র আশ্বাস দিয়েছেন তাদের অনত্র জায়গা দেওয়ার জন্য। বিক্ষোভকারী কাউন্সিলরদের বক্তব্য, বাম জমানায় যে একেবারেই বেআইনি বাড়ি হয়নি তা নয়, তবে বর্তমানে সেটা উৎসবে পরিণত হয়েছে। আর এখন বাম জমানাকে দোষ দেওয়া হচ্ছে।
এদিন পুরসভার ভিতরে মেয়রের ঘরের সামনে গলায় প্লাগার্ড ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান বাম কাউন্সিলররা। সেখানে ছিলেন বাম কাউন্সিলর রূপা বাগচী, চয়ন ভট্টাচার্য, রাজীব বিশ্বাস, মধুছন্দা দেব প্রমুখ বাম কাউন্সিলররা। যদিও মেয়র জানান, এটা বামেদের বিক্ষোভ নয়। কারণ তাদের বিক্ষোভ দেখানোর মতো লোক নেই। তিনি জানান পুরসভার তরফে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে সেটা তাদের জানানো হয়েছে। এছাড়াও বেআইনি নির্মাণ বা পুকুর ভরাট নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে সেগুলি তিনি বাম কাউন্সিলদের জমা দিতে বলেছেন। সেই মতো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মেয়র আশ্বাস দিয়েছেন। যদিও মেয়রের দাবি, তারা পুকুর ভরাটের কোনও তালিকা দিতে পারেননি।