একুশের নির্বাচনে একটিও আসন তারা পায়নি। সংযুক্ত মোর্চা গঠন করেও শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচন করার দাবিতে রাজ্যকে চিঠি দিল বামফ্রন্ট। এখন ওখানে অচলাবস্থা চলছে। তাই পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরকে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে খবর। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মহকুমা পরিষদের নির্বাচন করার জন্য আবেদন করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তবে এখনও রাজ্যের তরফ থেকে কোনও উত্তর মেলেনি।
জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের মেয়াদ ফুরিয়েছে। এখনও সেখানে নির্বাচন হয়নি। বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘স্বায়ত্বশাসিত সংস্থায় পাঁচ বছর অন্তর নির্বাচন করা উচিত। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নাগরিকরা পরিষেবা পাওয়ার অধিকারী। আর সেটা না হলে সংশ্লিষ্ট মহকুমা পরিষদের নির্বাচকমণ্ডলী ও নাগরিকগণ বঞ্চিত হন।’ এখন শিলিগুড়িতে আর মেয়র নেই অশোক ভট্টাচার্য। পুরপ্রশাসক হয়েছেন গৌতম দেব।
এখন করোনাভাইরাস পরিস্থিতি রাজ্যে ভাল। তাই এখানের নির্বাচন করতে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২২টি পঞ্চায়েত, চারটি পঞ্চায়েত সমিতি এবং শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচন করার বিষয়ে রাজ্য সরকার আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে কোনও চিঠিও পাঠায়নি। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে ওই চিঠিতে।
বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে লেখা চিঠির শেষে উল্লেখ করা হয়েছে, শিলিগুড়ি মহকুমার গ্রামীণ এলাকায় এই অচলবস্থার জন্য দায়ী উপযুক্ত সময়ে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচন না হওয়া। এই অবস্থায় বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে মেয়াদ উত্তীর্ণ শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচনের দিন ঘোষণা করার দাবি করা হচ্ছে। এখন এখানের নির্বাচনের কাজ না হলেও উন্নয়নের কাজ থমকে নেই। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে উন্নয়নের কাজ অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। তবে নির্বাচন দ্রুত ঘোষণা করা হবে বলেও সূত্রের খবর।