কলকাতায় পৌঁছলেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার সকাল ১০.৪০ মিনিটে দমদম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে অমিত শাহের হেলিকপ্টার। সেখানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান বিজেপি নেতা মুকুল রায়। ওদিকে অমিত শাহ পৌঁছতেই বিমানবন্দরের ১ নম্বর গেটে বিক্ষেভ দেখাতে থাকেন বামপন্থী ছাত্রছাত্রীরা।
রবিবার ঠাসা কর্মসূচিতে কলকাতায় পৌঁছলেন অমিত শাহ। এদিন বিমানবন্দরে নেমেই রাজারহাটে NSG-র নতুন ভবন উদ্বোধন করেন তিনি।
সেখান থেকে বেলা ২.৩০ মিনিটে পৌঁছবেন শহিদ মিনার ময়দানে। সেখানে CAAর কার্যকারিতা পশ্চিমবঙ্গবাসীকে বোঝাবেন তিনি।
সেখান থেকে শাহ যাবেন কালীঘাটে পুজো দিতে।
সেখান থেকে বিকেলে পৌঁছবেন নিউটাউনের ওয়েস্টইন হোটেলে।
সেখানে দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে পুরভোটের রণকৌশল তৈরি করবেন তিনি।
রাতে কলকাতা ছাড়বেন শাহ।
অমিত শাহের সফরে বিক্ষোভ ও কালো পতাকা দেখানো হবে বলে আগে থেকেই জানিয়ে রেখেছিল বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। একই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। সেই মতো এদিন বেলা বাড়তেই বিমানবন্দরের ১ নম্বর গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বামপন্থী ছাত্রছাত্রীরা। কালো বেলুন, কালো পতাকা হাতে নিয়ে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তোলেন তাঁরা। ব্যারিকেড করে আটকায় পুলিশ। এদিন বামেদের বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে কংগ্রেসও।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, দিল্লি হিংসার মূল কাণ্ডারি শাহ। তার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আঁতাঁতের বিরোধিতায় পথে নেমেছে বামপন্থীরা।
শুধু বিমানবন্দর নয়, অমিত শাহের সফর বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাবে বলে জানিয়েছে বামপন্থীরা। এদিন পার্ক সার্কাসের কাছেও অমিত শাহের সফরের বিরোধিতায় বিক্ষোভ দেখান বামপন্থীরা। সেখানেও ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, ‘ভুবনেশ্বরে গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে সেটিং করে এসেছেন মমতা। তাই পুলিশ নামিয়ে অমিত শাহের থেকে বিক্ষোভকারীদের দূরে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।’
বামেদের বিক্ষোভের কর্মসূচিকে আগেই কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, হারতে হারতে যাঁদের মুখ কালো হয়ে গিয়েছে তারাই কালো পতাকা দেখায়।