ভবানীপুর উপনির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই ঘটছে নানারকম ঘটনা। বিজেপির সেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে প্রচারে নামানোর ট্র্যাডিশন, জোড়া নিম্নচাপের ভ্রুকূটি দেখা দেওয়া, বাবুল সুপ্রিয়র তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মমতাকে জয়ী ঘোষণা করা–সহ নানা ঘটনা। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মীসভার এবং চেতলায় মমতার সভা মঞ্চেও দেখা গেল ৮৪ বছরের বৃদ্ধকে। দুই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মালা রায়–কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম–অরুপ বিশ্বাসের উপস্থিতিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা মঞ্চে হাজির হলেন এই বাম নেতা। যা মুহূর্তে চর্চায় উঠে এলো।
তবে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়েও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন এই প্রবীণ বামপন্থী নেতা। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়ী করার আবেদনও জানিয়েছিলেন বাদল চট্টোপাধ্যায়। সেদিন অবশ্য তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছিল। এবার এলেন নিজেই। তাই চর্চায় উঠে আসে বামেদের প্রচারে না থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় উপস্থিত থাকছেন এই বামপন্থী নেতা। আগে বলেছিলেন, ‘গোটা বাংলা জিতে বসে রয়েছেন মমতা। সমস্ত রাজনৈতিক দল সমস্ত সংগ্রামী মানুষের কাছে আমার আবেদন মমতাকে যেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা জেতাতে পারি আমরা।’
আর আজ তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে বসে কথা বললেন। কোনও রাজনৈতিক বক্তব্য রাখেননি। ভবানীপুরের বামফ্রন্টের প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। সেখানের প্রচারে না থেকে নিজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে কেন? উঠেছে প্রশ্ন। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে একটা সময় তাঁদের জানান, গোটা বাংলা তথা অন্যান্য রাজ্যেও যাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে সেটা অস্বীকার করা যায় না। মানুষ এখন তাঁকে চাইছে। আর মানুষই তো শেষ কথা বলে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি। কোনও বিবৃতি দেননি। শুধু শুনছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা। মাঝে মাঝে মাথা নাড়ছিলেন। যা বুঝিয়ে দিল বিজেপি ঠেকাতে মমতাই একমাত্র ভরসা। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে ইতিমধ্যেই একটা ভিডিও বানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাতেও স্থান পেয়েছে বাদল বাবুর সেদিনের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য।