নদিয়ার গয়েশপুরের কর্মীসভায় দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের মানহানিকর কথা বলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মিত্রকে আইনি নোটিশ ধরালেন প্রবীণ সাংবাদিক তথা কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী স্মরজিৎ রায়চৌধুরী।
মহুয়া মৈত্রকে পাঠানো আইনি নোটিশে স্মরজিৎবাবু জানান, গত ৭ ডিসেম্বর নদিয়ার গয়েশপুরের জনসমক্ষে দাঁড়িয়ে সাংবাদিক কুলকে ‘দুই পয়সার সাংবাদিক’ বলে অপমান করেছেন তিনি। তাই তার মন্তব্য যথেষ্ট মানহানিকর এবং অপমানজনক মনে করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। যদি তিনি এই মানহানিকর ও অসম্মানজনক বক্তব্যের জন্য ক্ষমা না চান তাহলে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলে জানান স্মরজিৎবাবু।
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র সাংবাদিকদের সম্বন্ধে যে মন্তব্য করেছেন তাতে প্রেস ক্লাব, কলকাতা গভীর উদ্বেগপ্রকাশ করছে এবং তীব্র প্রতিবাদ করছে। তাঁর এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে অনভিপ্রেত, অপমানজনক। ধিক্কার জানাই সাংসদের মন্তব্যে’।
ঠিক কী ঘটেছিল? গয়েশপুরে মহুয়া মৈত্র দলীয় কর্মীদের নিয়ে সভা করছিলেন। সেখানে কয়েকজন সাংবাদিক ঢুকে পড়েন। কেউ তাঁদের বাধা দেননি। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তাঁদের একজনকে দেখে মহুয়া জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কে? তিনি জবাব দেন, প্রেস। মহুয়া বলেন, ‘আপনাকে কে ঢুকতে দিল? বেরিয়ে যান।’ পরে তিনি দলের কর্মীদের বলেন, ‘এই দুই পয়সার প্রেসকে ভেতরে কে ডেকেছে? কর্মী সভা হচ্ছে। সেখানে কাগজে ও টিভিতে মুখ দেখানোর এত শখ?’
পরে দুঃখপ্রকাশের নাম করে চরম ব্যঙ্গ করেন। তাঁর মন্তব্য নিয়ে ফেসবুক, টুইটারের মতো সামাজিক মাধ্যমে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বয়ে যাওয়ার পর তিনি সামাজিক মাধ্যমেই জানান, ‘অন্যের আবেগে আঘাত করতে পারে, এমন কুকথা অথচ সঠিক কথা বলার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’ একইসঙ্গে একটি দুই পয়সার ছবি দিয়ে তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘মাই মিম এডিটিং স্কিলস আর ইমপ্রুভিং।’