আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অষ্টমীর সকালে সুরুচি সংঘের মণ্ডপে অঞ্জলি দিয়ে আইনি নোটিশের মুখে নুসরত-সৃজিতরা। তাঁদের আইনি নোটিশ পাঠাতে চলেছেন পুজো অনুমতি সংক্রান্ত মামলার আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। শনিবার সংবাদমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন সব্যসাচীবাবু নিজে। সঙ্গে অন্য যারা আইন ভঙ্গ করেছেন তাঁদেরও আইনি চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন।
শনিবার অষ্টমীর সকালে দেখা যায় সাংসদ – অভিনেত্রী নুসরত জাহাঁ, তাঁর স্বামী নিখিল জৈন, পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী মিথিলাকে। অঞ্জলি দিতে সুরুচি সংঘের মণ্ডপে হাজির হয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রও।
সব্যসাচীবাবুর যুক্তি, আদালতের নির্দেশ অনুসারে পুজো কমিটির সদস্য ছাড়া অন্য কারও মণ্ডপে প্রবেশ নিষেধ। তাহলে এই সেলিব্রেটিরা মণ্ডপে ঢুকলেন কী করে? এরা কি পুজো কমিটির সদস্য? ফলে মণ্ডপে ঢুকে এরা আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছেন।
যদিও নুসরতের পক্ষে তাঁর জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, ৩ বছর ধরে নুসরত সুরুচি সংঘের সদস্য। কিন্তু ক্লাবের সদস্য হওয়া ও পুজো কমিটির সদস্য হওয়া এক জিনিস নয়। তাছাড়া কমিটির সদস্য হলেও মণ্ডপে প্রবেশ করতে গেলে আগে থেকে তাঁর নাম জমা দিতে হবে পুলিশের কাছে। কলকাতার পুলিশের কাছে কি আগে থেকে নুসরতের নাম জমা দিয়েছিল সুরুচি সংঘের পুজো কমিটি?
একই কথা জানা গিয়েছে সৃজিতকে নিয়েও। তিনিও না কি সুরুচি সংঘের সদস্য। যদিও নুসরতের স্বামী ও সৃজিতের স্ত্রীর ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। তাঁরা কার অনুমতিতে মণ্ডপে ঢুকেছিলেন তা এখনো অজানা।
আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘কেউ সাংসদ বা সেলিব্রিটি হলে সে তো আইনের বাইরে নয়। বরং আইন পালনে তাঁর দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। আর মহুয়া মৈত্রের মতো ব্যক্তিত্ব, যিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক মামলা করেছেন, তাঁর কাছে তো এই আচরণ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
তিনি জানিয়েছেন, এদিন সুরুচি সংঘের মণ্ডপে যাঁদের দেখা গিয়েছে তাঁরা প্রত্যেকে আইনি নোটিশ পাবেন। আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে তাঁদের বিরুদ্ধে।