বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > TET scam: চাকরির নামে আর্থিক প্রতারণা, তাপসের বিরুদ্ধে অভিষেককে দেওয়া চিঠি জমা পড়ল আদালতে

TET scam: চাকরির নামে আর্থিক প্রতারণা, তাপসের বিরুদ্ধে অভিষেককে দেওয়া চিঠি জমা পড়ল আদালতে

অভিযুক্ত বিধায়ক তাপস সাহা। ছবি সৌজন্যে ফেসবুক।

মামলাকারীদের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয় এই চিঠি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা এর ভিত্তিতে প্রবীর কয়ালসহ তিন জনকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা রায়দিঘি থেকে গ্রেফতার করেছে পাশাপাশি তাপস সাহাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। 

নদিয়ার তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে অনেক প্রতারিত ব্যক্তি তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন। সেই চিঠি জমা পরল কলকাতা হাইকোর্টে। গতকাল মামলাকারীদের আইনজীবী বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে ওই চিঠিটি পেশ করেন।

গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিকের দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল সেখানে এই চিঠিটি পেশ করেন আইনজীবী। ১৬ জন চাকরি প্রার্থী চিঠি দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাতে তাপস সাহা ছাড়াও তাঁর আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালসহ আরও বেশ কয়েকজনের নাম ছিল। অভিযোগ ছিল, চাকরির দেওয়ার নাম করে তারা কয়েক কোটি টাকা তুলেছিলেন। কারও কাছ থেকে ৫০ হাজার আবার কারও কাছ থেকে ৮ লক্ষেরও বেশি টাকা তোলা হয়েছিল। কিন্তু, প্রতিশ্রুতি মতো চাকরি না দেওয়ার পরেও সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি।

মামলাকারীদের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয় এই চিঠি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা এর ভিত্তিতে প্রবীর কয়ালসহ তিন জনকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা রায়দিঘি থেকে গ্রেফতার করেছে পাশাপাশি তাপস সাহাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

তেহট্টের বিধায়ক হওয়ার আগে তাপস সাহা নদিয়ার পলাশিপাড়ার বিধায়ক ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় তিনি চাকরি দেওয়া নাম করে টাকা তুলেছিলেন। তবে এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক। যদিও চিঠি পাওয়ার পর এদিন কোনও মন্তব্য করেননি বিচারপতি। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। এর আগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। ফলে এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট কী নির্দেশ দেয় সেদিকেই চেয়ে রয়েছেন মামলাকারীরা।

বন্ধ করুন