জয়নগরে নাবালিকাকে ধর্ষণ খুনে দোষীর ফাঁসির সাজা হতে না হতে তার কৃতিত্ব নিতে ময়দানে নেমে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ শাসকদল তৃণমূল। এবার মুখ্যমন্ত্রীর কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টাকে কটাক্ষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কামদুনির নির্যাতিতার বিচারপ্রক্রিয়ার পরিণতির কথা স্মরণ করিয়ে লিখলেন, দোষীকে আগে ফাঁসিকাঠ পর্যন্ত পৌঁছতে দিন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, জয়নগর ধর্ষণ ও খুনের রায়কে আমি স্বাগত জানাই। আশা করব যে রাজ্যে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে অন্যান্য জঘন্য অপরাধ মোকাবিলায় বার বার এমনই ব্যতিক্রম হবে।’
এর পরই pi
এর পরই কামদুনি মামলার ইতিহাস মনে করিয়ে শুভেন্দুবাবু লেখেন, ওই ঘটনায় ৬ জনকে সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত। তাদের মধ্যে সইফ আলি, আমিনুল আলি ও আনসার আলির ফাঁসির সাজা হয়েছিল। ওই মামলায় হাইকোর্টে রাজ্যের হয়ে ১৪ জন আইনজীবীর লড়াই করার কথা ছিল। কিন্তু হয় তারা মামলা লড়তে অস্বীকার করেছেন নয় আইনজীবী বদলে দেওয়া হয়েছে।’
এর পর কামদুনি মামলায় হাইকোর্টের রায় উল্লেখ করে শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ‘মহামান্য হাইকোর্ট রায়ে উল্লেখ করেছে এই ঘটনায় আগাম ষড়যন্ত্রের বিষয়টি রাজ্য সরকার সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর পর ফাঁসির সাজা পাওয়া ৩ জনের মধ্যে ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারপতি ও একজনকে খালাস করেছেন। বাকি ৩ আসামীকে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তবে তাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে।’
এর পরই বিস্ফোরক অভিযোগ করে শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ‘হাইকোর্টের রায়ের পর যারা জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন তারা নিজেদের তৃণমূল কর্মী বলে ঘোষণা করেছেন। তারা পুলিশি নিরাপত্তা পাচ্ছেন।’ এর পরই নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়ে শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ‘আমার আশঙ্কা এই জয়নগর মামলাও কামদুনির পথে হাঁটতে চলেছে। যার ফলে দোষী যুক্ত মুক্তি পেয়ে যেতে পারে।’