অনলাইনের ব্যবহার যত বাড়ছে ততই সাইবার প্রতারণাও বেড়ে চলেছে। কখনও ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে, কখনও বা টিকিট বুকিংয়ের নামে সাইবার প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ। এছাড়া, বেকার যুবক যুবতীদের কাজ দেওয়ার নামেও প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজের টোপ দিয়ে প্রতারণা ইদানিং বাড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োতে লাইক বা কমেন্ট করলে অর্থ উপার্জন করা যাবে, এমনই প্রলোভন দেখিয়ে সম্প্রতি একের পর এক প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসছে। এই প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে ইতিমধ্যেই টাকা খুঁইয়েছেন বেশ কয়েকজন। এর পিছনে মূলত জামতারা বা রাজস্থানের একাধিক গ্যাংয়ের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
কীভাবে হচ্ছে এই প্রতারণা?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে অপরিচিত কোনও নম্বর থেকে মেসেজ আসছে। তাতে জানানো হচ্ছে ইউটিউব বা সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিয়োতে লাইক এবং কমেন্ট করলে দৈনিক ২ হাজার টাকা করে আয় করা যাবে। সেই লাইক এবং কমেন্ট করার স্ক্রিনশট নির্দিষ্ট লিঙ্কে পাঠিয়ে দিতে হবে। আর সেই প্রলোভনে পা দিলেই বিপদ। মোটা টাকা আয়ের আশায় অনেকেই সেই মতোই ভিডিয়োতে লাইক এবং কমেন্ট করে স্ক্রিনশট লিঙ্কে পাঠাতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। মুহূর্তে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে টাকা। লালবাজারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সাধারণত মেসেজগুলি দেখে বোঝা যায় না। মেসেজে পরপর ভিডিয়োর লিঙ্ক পাঠানো হয়। আর সেই লিঙ্কে ক্লিক করতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। গত মাসে এই ধরনের অভিযোগ বেশি এসেছে।
লাইক কমেন্টের পাশাপাশি সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে চার্জ কেটে নেওয়ার মেসেজ পাঠিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছে। এই ধরনের বেশ কিছু অভিযোগ কলকাতা পুলিশের কাছে জমা পড়েছে। সাইবার আধিকারিকদের মতে, করানোর পর থেকেই বাড়িতে বসে কাজ করার প্রবণতা বেড়েছে। আর তার ফলে সাইবার প্রতারণাও বেড়েছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরনো কায়দাতেই প্রতারণা করা হচ্ছে শুধুমাত্র ধরন বদলাচ্ছে সাইবার প্রতারকরা। তাই সতর্ক না হলেই বিপদ লুকিয়ে থাকতে পারে। এদিকে, এই সমস্ত সাইবার প্রতারণার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কোথা থেকে সাইবার প্রতারণা করা হচ্ছে? কারা এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন।