গত সপ্তাহে দলীয় বৈঠকে নামে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে সতর্ক করেছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরসভা ছাড়া যেন তিনি অন্য কোনও বিষয়ে মুখ না খোলেন। সেদিন তিনি রবীন্দ্রনাথের কবিতা আওড়েছিলেন। কিন্তু এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই ফের তিনি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সরব হলেন ফিরহাদ। দলের উত্তরবঙ্গের নেতা উদয়ন গুহর মন্তব্যের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তিনি। তার ঠিক কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় এবং রাজ্যস্তরের মুখপাত্রদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় নাম নেই ফিরহাদ হাকিমের।
যদিও আগেও ছিল না। কিন্তু তিনি যেভাবে দলীয়ে মুখপাত্রের মতো বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য করতে শুরু করেছিলেন, তাতে তালিকা প্রকাশ করে দল তাঁকে বার্তা দিতে চাইল। তা প্রশ্নাতীত ভাবে স্পষ্ট।
তৃণমূলের জাতীয় স্তরের মুখপাত্রদের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে ২০ জনের নাম রয়েছে। জাতীয় স্তরে ভিন রাজ্যের নেতা প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ, ললিতেশ ত্রিপাঠী, মুকুল সাংমা, রিপুন বোরা, সুস্মিতা দেবের পাশাপাশি রাজ্যের নেতাদেরও নাম রয়েছে। তালিকায় রয়েছে অমিত মিত্র, বাবুল সুপ্রিয়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ডেরেক ও’ ব্রায়েন, জওহর সরকার, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মহুয়া মৈত্রর নাম। এই তালিকায় নতুন সংযোজন সুগত বসু।
(পড়তে পারেন। একের পর এক মন্ত্রীর মন্তব্যের বিরোধিতায় সরব, তবে কি অন্য ভাবনা ফিরহাদের মনে?)
রাজ্যস্তরে ৪০ জনের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। জায়গা পেয়েছেন দোলা সেন। অন্য দিকে বাদ পড়েছে সুপ্রিয় চন্দের নাম। আগেও তার নাম তৃণমূলের যুব কমিটি থেকে বাদ পড়েছিল, এবার মুখপাত্রের তালিকা থেকেও নাম বাদ পড়ল। তবে মুখপাত্রের তালিকায় নাম নেই ফিরহাদ হাকিমের। আগেও ছিল না। তিনি যে দলের মুখপাত্র নন সেটা বোঝাতেই কি দলের রাজ্য এবং জাতীয়স্তরে মুখপাত্রদের নামের তালিকা তড়িঘড়ি প্রকাশ করা হল?
তবে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর যুক্ত হাওয়ার পর থেকে প্রতি বছর দলের মুখপাত্রদের তালিকা প্রকাশিত হচ্ছে। গত তিন বছর ধরে এমনটা হয়ে আসছে। এ বছর গোড়ার দিকে মুখপাত্রদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হল।