কোচবিহারের দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনার পরে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেব্যাপারে শুক্রবার হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। রাজ্য সরকারের কাছে এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ ৩ মার্চ কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এনিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা ও পরিকল্পিত হামলার অভিযোগ তুলে এই মামলা করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনহাটার বুড়িরহাটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কোচবিহারের বিজেপি সাংসদের উপর হামলা চালানো হয়েছিল। এরপরই দিনহাটায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার ব্যাপারেও আবেদন করা হয়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকে।
অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছেন আগাম জানিয়ে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তারপরেও তাঁর কনভয়ে হামলার ঘটনা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির একটি নমুনা। এরসঙ্গেই তিনি জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় সরকার দিনহাটায় আর্টিকেল ২৫৭ অনুসারে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে প্রস্তুত।
শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষের আইনজীবী সৌম্য মজুমদার জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্তের ভার সিবিআইয়ের উপর দেওয়া হোক। তিনি জানিয়েছেন, তারা( কোচবিহার পুলিশ) কেবলমাত্র বিজেপি সমর্থকদের গ্রেফতার করছে।এমনকী ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিআইএসএফ জওয়ানরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগকেও মান্যতা দেওয়া হয়নি।
সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী জানিয়েছেন, আদালত নির্দেশ দিলে এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআই নিজে রাজি। তবে অ্যাডভোকেট জেনারেল এসএন মুখোপাধ্যায় এই জনস্বার্থ মামলার বিরোধিতা করেছেন। এই আবেদনকে তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার সিআইএসএফের অভিযোগ গ্রহণ করেছে। এই ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে। এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ গোটা ঘটনায় কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার তার তালিকা আদালতে পেশ করবে।
প্রসঙ্গত দিনহাটার হিংসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর তুঙ্গে। ধরপাকড়ও চলছে এলাকায়। দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে। তার মধ্য়েই এবার দিনহাটা কাণ্ডে শুক্রবারই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এবার রাজ্য সরকার কী ধরনের রিপোর্ট জমা দেয় সেদিকেই আগ্রহ রয়েছে সকলের।