১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযানে পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছিলেন ১৩ জন। সেই ১৩ জনকেই শ্রদ্ধা জানাতেই তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে শহিদ দিবস পালন করে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এবারের সভা শুধুমাত্র এই ‘শহিদ’দের শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশে নয়, বরং আজকের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে পা রাখতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পেগাসাস 'হ্যাক': ফোনের ক্যামেরা ‘প্লাস্টার’ করলেন মমতা
পেগাসাস 'হ্যাক' নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করলেন, তাঁর ফোনেও আড়ি পাতা হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম, এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের মতো নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলারও জো নেই। সেইসঙ্গে নিজের ফোন দেখিয়ে মমতা জানান, তাঁর ফোনের ক্যামেরা ‘প্লাস্টার’ করে দিয়েছেন।
কৃষকদের ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছি
কৃষকদের ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছি। কৃষক মরে গেলে পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা দেই। মিউটেশনে এক পয়সা খরচ করতে হয় না কৃষকদের। খাদ্যসাথী আছে। বিয়ে হলে মরা টাকা দেই। পায়ে পায়ে সমাধান আছে, দুয়ারে সরকার আছে। আমরা জনগণের জন্যে কাজ করি।
আপনারা শুধু দলের কথা ভাবেন
আমরা সবার কথা ভাবি, আপনারা শুধু দলের কথা ভাবেন। তাও অন্যকে বুলডোজ করে। ভারতের উন্নয়ন চাই। আপনারা কিছু করেন না। যাঁরা মানুষের কাজ করছেন, তাঁদের অসুবিধায় ফেলেন আপনারা। আমাদের ঝামেলায় ফেলবেন না। আমরা সবাইকে স্বাস্থ্য সাথী দেই। আমরা সবাইকে বিনামূল্যে চিকিত্সা দেই। পড়ুয়াদের ১০ লক্ষ ঋণ দেই।
শুধু হিংসা আর বিভিজনের রাজনীতি চান আপনারা
শুধু হিংসা আর বিভিজনের রাজনীতি চান আপনারা। আমরা তা চাই না। আমরা বাংলার মানুষ। আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জমি থেকে এসেছি, স্বামী বিবেকানন্দের মাটি থেকে এসেছি।
বুরা না মানে মোদীজি
BJP-র মগজে মরুভূমি, তৃতীয় ঢেউ নিয়ে কোনও পরিকল্পনা করেনি। বুরা না মানে মোদীজি। আপনি কি আদৌ জানেন নাকি অমিত শাহ একাই করেন সব।
বেকারত্ব বেড়ে গিয়েছে
বেকারত্ব বেড়ে গিয়েছে। এই যে কৃষকরা এত মাস ধরে বসে আছেন, কেউ কথা শোনে না। উত্তরপ্রদেশে উন্নাওয়ে কী হয়। আরও বিল আনছে যাতে গণতন্ত্র মারা যায়।
সুপ্রিমকোর্টকে পেগাসাস নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার আবেদন
সুপ্রিমকোর্টকে পেগাসাস নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার আবেদন। গণতন্ত্রকে যদি কেউ বাঁচাতে পারে তাহলে বিচার ব্যবস্থা তা করতে পারে। আমাদের মতো রাজনৈতিক দল তা করতে পারে।
বিজেপি হাই লোডেড ভাইরাস পার্টি
বিজেপি হাই লোডেড ভাইরাস পার্টি। বেকারত্ব বেড়ে গিয়েছে। গুলি আর গালির রাজনীতি চলছে।
খেলা হয়েছে, খেলা আবার হবে
খেলা হয়েছে, খেলা আবার হবে। যতদিন বিজেপিকে দেশ থেকে বিতারিত না করতে পারছি ততদিন রাজ্যে রাজ্যে খেলা হবে।
সবাইকে ইদ মুবারক
সবাইকে ইদ মুবারক, সব ধর্মের সবাইকে শুভেচ্ছা। ঐক্যবদ্ধ ভারত দেখতে চাই।
কোভিড না সামলে নিত্য যাত্রা করেছেন বাংলায়
মোদীকে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘কোভিড না সামলে নিত্য যাত্রা করেছেন বাংলায়। আপনারা ভেবেছেন পেগাসাস আছে। তবে বাংলা মানে না। বাকি রাজ্যদের বলব, নিজেদের দলকে বোঝান। একসঙ্গে কাজ করতে হবে। রোগ সারতে পারে। তবে সময়ে চিকিত্সা করাতে হবে। আমি আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে গিয়ে বিরোধী দলনেতাদের সঙ্গে দেখা করতে চাই।’
আমাদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে
আমাদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। আমাদের দেশকে বাঁচাতে হবে। কোভিডে দেশ শেষ হয়ে গিয়েছে। কোভিডের টিকা নেই, অক্সিজেন নেই। প্রধানমন্ত্রীর লজ্জা লাগে না? গঙ্গায় মৃতদেহ ভাসে। সেই উত্তরপ্রদেশকে শ্রেষ্ট বলছেন মোদী। আপনাদের ন্য চার লক্ষ লোক মারা গিয়েছে।
গণতন্ত্রের তিন স্তম্ভ নষ্ট করছে বিজেপি
সব কিছু দখল করছে বিজেপি। যা ওরা বলবে তাই করতে হবে। নয়ত পেগাসাস দিয়ে ভয় দেখাবে। গণতন্ত্রেরর বদলে গোয়েন্দাগিরি চলছে। সকলের মুখ বন্ধ করলেও আণি রবি ঠাকুরের ভাষায় গাইব …
পেগাসাসের জন্যে আমি আমার ফোনে প্লাস্টার লাগিয়েছি
পেগাসাসের জন্যে আমি আমার ফোনে প্লাস্টার লাগিয়েছি। এই সরকারকেও প্লাস্টার লাগাতে হবে। বিজেপি গণতন্ত্র নষ্ট করছে।
ভোট পরবর্তী হিংসা হয়নি বাংলায়
কয়েকজন বিজেপি নেতাকে মানবাধিকার কমিশনের লোক বানিয়ে পাঠিয়েছে। আমাদের ফোন ট্যাপ। পেগাসাস, ভয়ঙ্কর। ২০২৪ সালে কী হবে কে জানে। আমার ইচ্ছে হলে শরদ পাওয়ার বা চিদম্বরমের সঙ্গে কথা বলতে পারি না। গরিবকে টাকা নিয়ে দিয়ে গোয়েন্দাগিরিতে টাকা খরচ। পেগাসাসের নাম করছে সবার ফোন ট্যাপ।
'জয় বাংলা, জয় হিন্দুস্তান'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: 'জয় বাংলা, জয় হিন্দুস্তান', আজ ২১ জুলাই। এবছর অনুষ্ঠান ভার্চুয়াল হচ্ছে। সকল জাতীয় এবং স্থানীয় নেতাকে ধন্যবাদ। শরদ পাওয়ারজির কাছে কৃতজ্ঞ। সুপ্রিয়া শুলে আছেন। পি চিদম্বরমজি আছেন, দিগ্বিজয় সিং জি আছে, সমাজবাদী পার্টির রাম গোপাল যাদব, জয়া বচ্চন, আরজেডির মনোজ ঝা। সব দলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
গুজরাতে সরানো হল মমতার হোর্ডিং
গুজরাতে সরানো হল ২১ জুলাই উপলক্ষে লাগানো তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতার হোর্ডিং
তৃণমূল কর্মীরা আটক ত্রিপুরায়।
শহিদ দিবস পালন করতে যাওয়া তৃণমূল কর্মীরা আটক ত্রিপুরায়।
দিল্লির সংবিধান ক্লাবে চিদম্বরম
দিল্লির সংবিধান ক্লাবে একাধিক দলের নেতা এসেছেন মমতার ভাষণ শুনতে। অকালি দল, আরজেডির সাংসদ ছাড়াও সেখানে এসেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। চিদম্বরমকে স্বাগত জানান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিলিগুড়িতেও পালিত হচ্ছে ভার্চুয়াল সভা
২০২১সালের ২১শে জুলাই শিলিগুড়িতেও পালিত হচ্ছে ভার্চুয়াল সভা। বুধবার শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মেলা মাঠে জায়েন্ট স্ক্রিন এর মাধ্যেমে ২১শে জুলাই এর শহিদ দিবসে যোগ দিয়েছেন দার্জিলিং জেলার নেতা ও কর্মীরা।
শহিদ দিবসকে সামনে রেখে পশ্চিম মেদিনীপুরে বিজেপিতে ভাঙ্গন ধরালো তৃণমূল
একুশে জুলাই তৃণমূলের শহীদ দিবসকে সামনে রেখে বুধবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের বারো নম্বর তুতরাঙ্গা অঞ্চলের আস্তি বুথে উদ্বোধিত হল তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয়। পাশাপাশি বিজেপি থেকে তৃণমূলে প্রায় পঁচিশটি পরিবার যোগদান করেন।তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট।
করোনা বিধির কথা মাথায় রেখে অনুষ্ঠান
শহিদ দিবসে বিধাননগর পৌরনিগমের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড বাইপাসের ধারে জায়েন্ট স্ক্রিন লাগিয়ে তৃণমূল নেত্রীর বার্তা সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। একদিকে করোনা বিধির কথা মাথায় রেখে নো মাস্ক নো এন্ট্রি বোর্ড ছোট শিশুরা মাস্ক পরিহিত রবীন্দ্র নৃত্য পরিবেশন করবেন। অপরদিকে বাউল সংগীত, পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি তুলির টানে তুলে ধরা হচ্ছে।
জাগো বাংলা দৈনিক হল
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আজকে সুখের দিন জাগো বাংলা আজ থেকে দৈনিক হল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলতে চান, তা সবাই জানতে চান।
বিজেপি হটানোর বার্তা পার্থর গলাতেও
উত্তরপ্রদেশ হোক, গুজরাত হোক, তামিলনাড়ু হোক কি ত্রিপুরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শুনতে সবাই অপেক্ষায়। বিজেপিকে হটাতে হবে। বাংলার বিশ্বাসযোগ্য মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরসা। ২০২৪ সালের নির্বাচনে বাংলা থেকে আওয়াজ উঠবে, জনবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চাই।
'বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও'
সর্বভারতী স্তরে দলকে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়ে ধর্মতলায় ফিরহাদ হাকিম স্লোগান তুললেন, 'বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও'।
লেকটাউনে শহিদ বেদিতে মাল্যদান মন্ত্রী সুজিত বোসের
লেকটাউন শ্রীভূমি পোস্ট অফিসের সামনে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বোস। তৃনমুল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর ভার্চুয়াল জনসভা দেখতে বিশাল জায়েন্ট স্ক্রিন লাগানো হয়েছে সেখানে।
ধর্মতলায় শহিদদদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন
ধর্মতলায় শহিদদের স্মরণে তৈরি ছোট বেদিতে শ্রদ্ধা জানালেন সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়রা। দলীয় পতাকা উত্তলন করলেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।
ধর্মতলায় বক্তব্য রাখছেন সুব্রত বক্সী
১৯৯৩ সালের স্মৃতিচারণায় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। বলেন, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চাইছেন।
টুইট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লেখেন, ‘১৯৯৩ সালের ২১ জুলাইয়ের বেদনাদায়ক স্মৃতি আজও আমাদের মনে রয়েছে। তৎকালীন সরকার যেভাবে ১৩ জনের উপরে নৃশংস অত্যাচার করেছে, তা আমরা কখনও ভুলতে পারব না। এই ১৩ জন বীরের ত্যাগের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রইল।’
শহিদ স্মপণ সবাইকে যোগ দেওয়ার আহ্বান মমতার
শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রত্যেককে আহ্বান জানিয়ে টুইট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জাতীয় স্তরে একুশে জুলাই
এই প্রথম বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে একাধিক রাজ্যে পালিত হতে চলেছে একুশে জুলাই।
শহিদ সমাবেশে এলে মিলবে ইদের শিমাই
তৃণমূল কংগ্রেসের ভার্চুয়াল সভার প্যান্ডেলে দিদির বক্তব্য শুনতে আসলে দেওয়া হবে ইদের শিমাই। এই উদ্যোগ নিয়েছেন ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সাবির শেখ।
ত্রিপুরায় শহিদ দিবস পালনে বাধা
ত্রিপুরায় তৃণমূলকে জায়ান্ট স্ক্রিন সরবরাহ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের কর্মসূচির জন্য জায়ান্ট স্ক্রিন সরবরাহ করতে অস্বীকার করে জায়ান্ট স্ক্রিন অ্যাসোসিয়েশন।