সাইক্লোন আমফানের ভয়ানক বিপর্যয়ের হাল নিজে দেখার জন্যে বঙ্গে প্রধানমন্ত্রী। বুধবার রাতের ঝ়ড়ে বিপর্যস্ত দক্ষিণবঙ্গ। ইতিমধ্যেই ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এক লক্ষ কোটির ক্ষতি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন যে মোট এক লক্ষ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমফানে। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বিস্তারিত ভাবে সব বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে জানান তিনি। সবাইকে এই বিপদের সময় একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলেও আহ্বান করেন মমতা।
ওড়িশার জন্য প্রস্থান
প্রশাসনিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে ওড়িশার দিকে চলে গেলেন মোদী।
চপারে করে এলাকা পরিদর্শন
বাংলার পাশে আছি
বসিরহাটে বৈঠকের পর মোদী বললেন- সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গে। লাগাতার সবার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। কেন্দ্র-রাজ্য একসঙ্গে কাজ করছে। তারপরেও অনেকে মানুষ মারা গিয়েছেন। যারা মারা গিয়েছেন, তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। এই বিপদের সময় আমরা পাশে আছি। কৃষি, বিদ্যুত, টেলিকমিউনিকেশন সবার ক্ষতি হয়। বিমানেপরিদর্শন করে খুঁটিয়ে দেখা হল ক্ষতিগ্রস্ত কী কী । বিস্তারিত সমীক্ষা করা হোক খুব দ্রুত। দল পাঠাবে কেন্দ্র। এই বিপদের সময় আমরা সবাই একসঙ্গে আছে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করা হবে। যা নীতি নিয়ম আছে পুরো সাহায্য করা হবে রাজ্যকে।এক হাজার কোটি টাকা আপাতত অগ্রিম অ্যাডভান্স দেওয়া হচ্ছে রাজ্যকে। দুই লক্ষ টাকা দেওয়া হবে মৃতদের।আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। মমতার নেতৃত্বে রাজ্য যথাসাধ্য করছে। ভারত সরকারও চেষ্টা করছে।
জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করা উচিত-মমতা
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেখানে সাংবাদিকদের বলেন সাইক্লোন আমফানকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করা উচিত। এদিন বসিরহাটে বৈঠক হবে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর। কপ্টারে চড়ে বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন মমতা, মোদী ও ধনখড়।
রাজ্য এলেন মোদী
ল্যান্ড করেছে প্রধানমন্ত্রীর প্লেন। শীঘ্রই তিনি যাবেন বিপর্যস্ত অবস্থা পরিদর্শনে। থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল।
৫০ লক্ষ দিলেন ধনখড়
সবাইকে টাকা দিতে অনুরোধ করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল।
মমতার সঙ্গে কথা নবীনের
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পাটনায়েক। ওড়িশা সরকার সূত্রে এই কথা জানা গিয়েছে।
দিদির ডাকে সাড়া
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে বলব একবার ভিজিট করে যান। দেখে আসুন কী হয়েছে। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পিএমও টুইটারে বলে যে ওড়িশা ও বাংলায় সরজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী।
৮৩ দিন পরে
দীর্ঘ ৮৩ দিন পর রাজধানী দিল্লি ছেড়ে অন্য রাজ্যে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী শেষ বেরিয়েছিলেন ২৯ ফেব্রুয়ারি, গেছিলেন প্রয়াগরাজ ও চিত্রকুটে। তারপর শুরু হয়েছিল সংসদের অধিবেশন। ২৫ মার্চ থেকে দেশে ঘোষিত হয় লকডাউন করোনার সংক্রমণে কাবু পাওয়ার জন্য। দেশবাসীকে প্রয়োজন ছাড়া বেরোতে মানা করেন প্রধানমন্ত্রী। নিজেও সেই নীতি মান্য করেন তিনি।