দক্ষিণবঙ্গে জেলায় জেলায় লাগাতার লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে এবার পথে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইটারে সমস্যা সমাধানের জন্য চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিলেন তিনি। ২ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের অফিস ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলায় নাগাড়ে চলছে লোডশেডিং। প্রচণ্ড গরমে পাখা না চলায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জীবন। মার খাচ্ছে শিল্প উৎপাদন, ব্যবসা বাণিজ্য। এমনকী লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভও দেখান স্থানীয়রা। বোলপুরে সাব স্টেশনের সামনে বিক্ষোভে গুলি চলে বলে অভিযোগ। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, কয়লার সরবরাহ ব্যহত হওয়ায় বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বেশ কয়েকটা ইউনিট। যার জেরে রাজ্যে ব্যাপক বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যার জেরে এই লোডশেডিং।
ব্যাখ্যা পেলেও শুক্রবার পর্যন্ত সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমেনি। তার পরই এক টুইটে লোডশেডিংয়ের জন্য রাজ্য সরকারকে রীতিমতো বিঁধেছেন বিরোধী দলনেতা। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের দেউলিয়া সরকার পয়সার অভাবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লা সরবরাহ করতে পারছে না। তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো প্রয়োজনের তুলনায় উৎপাদন ক্ষমতা কমাতে বাধ্য হয়েছে। যার ফলে ঘাটতির পরিমাণ ১২০০ মেগাওয়াট। এই ভাদ্র মাসের অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে আবালবৃদ্ধবনিতা সকলেরই ঘর্মাক্ত হাঁসফাঁস অবস্থা। এই মুহূর্তেও রাজ্যের এক বড় অংশ বিদ্যুৎ নেই। দেউলিয়া মুখ্যমন্ত্রীর দেউলিয়া সরকারের বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের জানিয়ে রাখলাম, যদি আগামী দুই দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান না করতে পারেন তবে আগামী সোমবার থেকে বিরোধী দলনেতাকে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার দফতরের সামনে ধর্নায় দেখতে পাবেন'।
বিদ্যুৎ বণ্টন দফতর সূত্রে খবর, প্রতি বছরই বর্ষায় খনিতে জল ঢুকে যাওয়ায় কয়লা সরবরাহ কিছুটা ব্যহত হয়। তার ওপরে বর্ষায় আসে ভিজে কয়লা। সেই কয়লা থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব নয়। যার জেরে এই ঘাটতি। তবে এই পরিস্থিতির জন্য পরিকল্পনার অভাব দায়ী বলে মেনে নিয়েছেন দফতরের আধিকারিকদের একাংশ।