সবুজে ভরা সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ে বড় বড় গাছের ডাল কাটছিলেন পুর কর্মীরা। স্থানীয়দের তৎপরতায় এবং মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে বন্ধ হল গাছের ডাল কাটা। কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পরিবেশ বাঁচানো দরকার।’ গতকাল সকালে সেখানে অবস্থিত বড় বড় গাছের ডাল কাটতে দেখে প্রথমে পুর কর্মীদের নিষেধ করেন স্থানীয়রা। কাজ না হওয়ায় তারা কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানান।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মীদের বলা হয়েছিল গাছের ডাল ছাঁটতে। কিন্তু তা না করে গাছের বড় বড় ডাল পালা কাটতে শুরু করেন পুরসভার কর্মীরা। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা তৃণমূলের জয় হিন্দ বাহিনির সভাপতি তথা মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানান। প্রসঙ্গত, এই এলাকার সবুজ বাঁচানোর উপরেই জোর দিচ্ছেন কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে তৎপরতার সঙ্গে তিনি দ্রুত কলকাতা পুরসভার উদ্যান বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
বিষয়টি জানান পর দেবাশিস নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করেন। দেবাশিস কুমার দাবি করেছেন, ‘পুর কর্মীদের গাছের ডাল কাটতে বলা হয়নি, তাদের শুধু গাছের ডালগুলি ছাঁটতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, ওরা বড় বড় ডাল কেটেছে। সঙ্গে সঙ্গে খবর পেয়ে আমি তা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি।’ কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমি খবর পেয়ে দেবাশিস কুমারকে ফোন করি? এখানে গাছ কেটে কোনওরকম কনস্ট্রাকশন বা দোকান করা উচিত নয়। আমাদের পরিবেশ বাঁচানো প্রয়োজন।’ যদিও এর সঙ্গে কোনও রাজনীতি নেই বলে জানিয়েছেন ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনীষা বসু।
প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই বৃক্ষ নিধন করার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘বৃক্ষ নিধন করে নগর উন্নয়ন বন্ধ করার সময় এসেছে। গাছ জঙ্গল রেখেই সাধারণ মানুষের নগর উন্নয়নের চাহিদা মেটাতে হবে। এর জন্য নির্দিষ্ট আইন প্রমাণ করা উচিত।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘পরিবেশ সুরক্ষিত না থাকলে মানব সভ্যতা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।’